ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ রাশিয়াকে সমর্থন করে, যুক্তরাষ্ট্রকে নয়। আর রাশিয়ার প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের বিপরীতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ১১ জুন, রোববার ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক জর্জ গ্যালোওয়েকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ৮৬ বছর বয়সী বিখ্যাত সাংবাদিক সিমুর হার্শ।
পুলিৎজারজয়ী এ সাংবাদিক বলেন, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আমেরিকাপন্থি থেকে যতদ্রুত রাশিয়াপন্থিতে রূপান্তরিত হয়েছে তা সত্যিই অবিশ্বাস্য ও নাটকীয়। এমনকি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্ট কমেছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি তুলে ধরেন।
সিমুর হার্শ বলেন, গত কয়েক মাসের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে নাটকীয় কিছু পরিবর্তন এসেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই এসব হয়েছে। তেহরান ও রিয়াদের মধ্যকার সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার কারণে আমরা দেখছি, ইয়েমেন সংকটও সমাধান হয়ে গেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কখনোই এটি সমাধান করতে পারেনি। আমরা মূলত বৃত্তের বাইরে চলে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা খোদ দেশের নাগরিকরাই ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তারা এর জন্য নিজ দেশের আর্থিক ক্ষতি নিয়ে শঙ্কিত। যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধে এরই মধ্যে ১৪০০ কোটি ডলার খরচ করেছে। একই সময়ের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি নাগরিক বিনামূল্যের স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও একটি ‘বিস্ফোরক’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সিমুর হার্শ। সেখানে তিনি দাবি করেন, রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহকারী পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিমে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটন ওই অভিযোগ আমলেই নেয়নি।
সূত্র: আরটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: