রাজনৈতিক খবরে ক্লান্ত আমেরিকানরা, বলছে নতুন জরিপ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২১

সংগৃহীত সংগৃহীত

রাজনীতি-সংক্রান্ত খবরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। তারা রাজনৈতিক সংবাদ শোনা থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ-এর এক জরিপে উঠে এসেছে।

জিয়াদ আউনাল্লাহ একজন ডেমোক্রেট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় তিনি রাজনৈতিক সংবাদে নিজেকে নিমজ্জিত রেখেছিলেন। তবে বর্তমানে আরো অনেক আমেরিকানের মতো তিনিও রাজনৈতিক সংবাদ শোনা থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন।

সান দিয়েগোর বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী আউনাল্লাহ বলেন, ‘মানুষ মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সবাই জানে কী হতে যাচ্ছে। তাই আমরা কিছুটা বিরতি নিচ্ছি।’

টেলিভিশন রেটিং এবং নতুন একটি জরিপে এ ঘটনাটি আরো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ-এর জরিপ অনুসারে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা সম্প্রতি অতিরিক্ত চাপের কারণে রাজনীতি ও সরকার সম্পর্কে জানার জন্য তাদের গণমাধ্যম ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন।

ডিসেম্বরের শুরুতে পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জন ডেমোক্রেট সদস্যের মধ্যে সাতজন বলেন, তারা রাজনৈতিক সংবাদ থেকে সরে এসেছেন। তবে ট্রাম্পের নির্বাচন জয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যে এই হার এত বেশি নয়। ১০ জনের মধ্যে প্রায় ছয়জন রিপাবলিকান বলেন, তারা কিছুটা সময় বিরতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। স্বতন্ত্রদের মধ্যেও এই হার একই রকম।

রাজনৈতিক খবরে পূর্ণ টিভি নেটওয়ার্কগুলোর জন্য এ পার্থক্য আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

নির্বাচনের পর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ চ্যানেল এমএসএনবিসির প্রাইম টাইম ভিউয়ারশিপ গড়ে ছয় লাখ ২০ হাজার ছিল, যা এই বছরের প্রাক নির্বাচনী শ্রোতার তুলনায় ৫৪ শতাংশ কম। জরিপ সংস্থা নিলসেন এ তথ্য জানায়।

একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেকটি সংবাদ চ্যানেল সিএনএনের গড় দর্শক ছিল চার লাখ পাঁচ হাজার, যা আগের চেয়ে ৪৫ শতাংশ কম।

ট্রাম্পের সমর্থকদের পছন্দের নিউজ নেটওয়ার্ক ফক্স নিউজ চ্যানেলে নির্বাচন পরবর্তী দর্শকের গড় সংখ্যা ২৬ লাখ ৮০ হাজার, যা ১৩ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে নিলসেন। নির্বাচনের পর থেকে সন্ধ্যায় এই তিনটি কেবল নেটওয়ার্কের মধ্যে ফক্স নিউজ দেখেছেন ৭২ শতাংশ মানুষ, যা নির্বাচনের দিনের আগের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি।

সিএনএন উল্লেখ করেছে, তাদের টেলিভিশন রেটিং-এ অবনতি ঘটেছে। তবে এর স্ট্রিমিং এবং ডিজিটাল রেটিংগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: