ভোটারদের কেন ৪৭ ডলার করে দিচ্ছেন ইলন মাস্ক

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৩৬

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীর পক্ষে জনমত গঠন করছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। সংগ্রহ করছেন স্বাক্ষর। আর এ জন্য তিনি দেশের ‘সুইং স্টেটস’ বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের ৪৭ ডলার করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যাঁরা এই পিটিশনে অন্য নিবন্ধিত ভোটারদের স্বাক্ষরে উৎসাহিত করতে সফল হবেন, তাঁদের দেওয়া হবে এই অর্থ। খবর সিএনবিসি। 

মাস্কের আমেরিকা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি এই জনমত গঠনের কাজ চালাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য সুইং স্টেটগুলোতে অন্তত ১০ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা। এসব দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হলো—পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা, মিশিগান, উইসকনসিন এবং নর্থ ক্যারোলাইনা। চলতি মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই জনমত গঠন ক্যাম্পেইন।

এই পিটিশনের লক্ষ্য হলো বাক্‌স্বাধীনতা ও নাগরিকের অস্ত্র বহনের অধিকারকে সমর্থন করা। পিটিশনের ফরমে বলা হয়েছে, ‘নিচে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে, আমি প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীর জন্য আমার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’ এই পিটিশনে স্বাক্ষর করা প্রত্যেক ব্যক্তি যতজনের কাছে বিষয়টি সফলভাবে পৌঁছে দেবেন, তার বিপরীতে তাঁরা প্রত্যেক ভোটারের জন্য ৪৭ ডলার করে পাবেন।

ইলন মাস্ক পেনসিলভানিয়ার বাটলারে এক সমাবেশে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমেরিকায় গণতন্ত্র রক্ষায় সক্ষম একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এই অনুষ্ঠানে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ ক্যাপ পরা মাস্ক বলেন, ‘ট্রাম্প না জিতলে এটাই হবে শেষ নির্বাচন।’

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন অনুসারে, ফেডারেল নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে দলভুক্ত করতে অর্থ প্রদান নিষিদ্ধ। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের আইন পিটিশন স্বাক্ষরের জন্য আর্থিক প্রণোদনার অনুমতি দেয়।

এর আগে, ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি জয়ী হলে মাস্ককে সরকারি দক্ষতা কমিশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করবেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: