হারিকেন ‘হেলেনের’ পর ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৭ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

হারিকেন ‘হেলেনের’ পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’। বর্তমানে এটি মেক্সিকো উপকূলে একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় হিসেবে অবস্থান করছে। চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি ফ্লোরিডায় উপকূলে আঘাত হানার সময় বড় হারিকেনে পরিণত হতে পারে।

৬ অক্টোবর, রোববার এ নিয়ে সতর্ক করে ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের সতর্কতা নোটিশ দেয়া হয়। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

মিয়ামির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ‘মিল্টন’ রোববার ভোরে ফ্লোরিডার টাম্পা থেকে প্রায় ১৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম- দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এরপর এটি ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে পূর্বের দিকে অগ্রসর হয়। তবে ঝড়টি ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।

হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, মিল্টন ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে কিন্তু দ্রুত শক্তিশালী হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং এই সপ্তাহের মাঝামাঝি ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলের কিছু অংশে প্রাণঘাতী ঝুঁকি নিয়ে আঘাত হানবে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বলেন, ‘মিল্টন’ ঠিক কোথায় আঘাত হানবে তা জানা না থাকলেও এটি স্পষ্ট যে এটি ফ্লোরিডায় কঠোরভাবে ফ্লোরিডা কঠোরভাবে আঘাত হানবে।

ডিস্যান্টিস বলেন, আপনাদের হাতে প্রস্তুতির সময় আছে। আজ সারাদিন, সোমবার সারাদিন, সম্ভবত মঙ্গলবার সারাদিন হারিকেন মোকাবিলার প্রস্তুতির সময় আছে। আপনাদের কোথায় নিরাপদে চলে যেতে হবে সে স্থান সম্পর্কে জানুন সেখানে আপনাদের বাধ্যতামূলক ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা ফ্লোরিডা ডিভিশন অব ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনকে হারিকেন হেলেনের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে সাহায্য করছে।

এছাড়া তিনি ‘মিল্টনের’ আঘাত হানার শঙ্কায় ৩৫টি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বলেন, ফ্লোরিডাবাসীদের বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং বিঘ্নের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।

গত মাসের শেষের দিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড উপকূলে আছড়ে পড়ে হারিকেন হেলেন। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। হারিকেনের তাণ্ডবে প্রাণহানির পাশাপাশি বিগ বেন্ড ও আশপাশের এলাকার অজস্র গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে, বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শত শত রাস্তা ডুবে গেছে।

হারিকেন হেলেনের তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে এ পর্যন্ত ২২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: