ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়াশিংটন সফরে নতুন ৮শ’ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনকে এই সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘মারাত্মক ভুল’ সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার এমন দাবি করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং বলেছেন, ইউক্রেন সংকটকে উসকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের সিদ্ধান্তের কারণে পুরো ইউরোপ পারমাণবিক যুদ্ধের সন্নিকটে পৌঁছে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেছেন, ‘রাশিয়ার হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা বা অবহেলা করা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘পারমাণবিক পরাশক্তি রাশিয়ার সঙ্গে বেপরোয়াভাবে সংঘাতে জড়ানো আগুন নিয়ে খেলার শামিল। আমেরিকা ও পশ্চিমারা কি এর পরিণতি সামলাতে পারবে বলে বিশ্বাস করে?’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিছুদিন আগে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছিলেন। কোনও পারমাণবিক শক্তির সমর্থনে পারমাণবিক শক্তিবিহীন দেশ রাশিয়ায় হামলা চালালে, তিনি সেটিকে যথাযথ উপায়ে প্রতিহত করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
কিম ইয়ো জং বলেছেন, জেলেনস্কির সামরিক অগ্রযাত্রায় অর্থায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিপূর্ণ এক বাজি ধরেছে। আর তাদের ৮শ’ কোটি ডলারের সর্বশেষ সহায়তা ঘোষণা ‘একটি মারাত্মক ভুল ও নির্বোধ পদক্ষেপ’।
উত্তর কোরিয়ার শাসকযন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন কিম ইয়ো জং। তিনি প্রায়শই রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন বিবৃতি দিয়ে থাকেন। এগুলো সুপ্রিম লিডারের আদেশেই দেওয়া হয় বলে ধারণা করা হয়।
গত এক বছরে পিয়ংইয়ং ও মস্কো নাটকীয়ভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। দুই দেশের নেতার বৈঠকে ‘সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, গত এক বছরে রাশিয়ায় অন্তত ১৬ হাজার ৫শ’ কনটেইনার অস্ত্র পাচার করেছে উত্তর কোরিয়া এবং মস্কো ইউক্রেনে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া উভয়েই অবৈধ যেকোনও অস্ত্র বাণিজ্যের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে থাকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: