বাংলাদেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:১১

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাংলাদেশ ভ্রমণে নাগরিকদের জন্য দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখন ভ্রমণের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের সতর্কবার্তা গতকাল বুধবার হালনাগাদ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগের সতর্কতার মাত্রা লেভেল ৪ (ভ্রমণ নিষেধ) থেকে নামিয়ে লেভেল ৩ (ভ্রমণ পুনর্বিবেচনার পরামর্শ) করা হয়েছে।

এখন নাগরিকেরা চাইলে কিছু পরামর্শ মেনে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের জমায়েত বিশেষ করে রাজনৈতিক জমায়েতগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

তবে এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে নাগরিকদের। এ ক্ষেত্রে সতর্কতার লেভেল ফোরেই আছে।

গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ভ্রমণে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ–সংক্রান্ত একটি এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা তালিকায় বাংলাদেশকে লেভেল ফোর (ভ্রমণ নিষিদ্ধ) অবস্থানে দেখা গেছে।

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগ‌রিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ এবং তা এখনো লাল তালিকায় রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশসহ রয়েছে ২১টি দেশ।

বাংলাদেশ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের লাল তালিকায়, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহালবাংলাদেশ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের লাল তালিকায়, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল
ওই পোস্টে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ২১টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে চতুর্থ ধাপের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতা। নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব দেশ ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, বেলারুশ, বুরনিকা ফাসো, মিয়ানমার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, হাইতি, ইরান, ইরাক, লেবানন, লিবিয়া, মালি, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন।

এর আগে ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ নিয়ে চতুর্থ ধাপের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করার কথা জানায় দূতাবাস। সেখানে বলা হয়েছিল, বেসামরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: