কমলা নির্বাচিত হলে ইসরায়েলের অস্তিত্বই থাকবে না, দাবি ট্রাম্পের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৩

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকবে না- এমন দাবি করেছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে রিপাবলিকান পার্টির ইহুদি দাতা সম্মেলনে দলটির এই প্রার্থী এই মন্তব্য করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে বর্তমান বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার লাস ভেগাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ইসরায়েলকে পরিপূর্ণভাবে ত্যাগ করবেন এবং এর ফলে সন্ত্রাসবাদী যোদ্ধারা পবিত্র ভূমি থেকে ইহুদিদের উচ্ছেদ করতে যুদ্ধ শুরু করবে।

দ্য রিপাবলিকান জিউয়িশ কোয়ালিশনের অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প কমলা হ্যারিসকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আপনাদের পরিত্যাগ করা হবে এবং আমি মনে করি, আপনাদের নিজেদের জনগণের কাছে কাছে এটি ব্যাখ্যা করতে হবে। কারণ তারা তা জানে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ইসরায়েল আর থাকবে না...যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হন। ইসরায়েল আর থাকবে না।’

ট্রাম্প জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে গাজাসহ ‘সন্ত্রাসকবলিত এলাকা’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শরণার্থীদের নিষিদ্ধ করবেন। যেসব ‘হামাসপন্থী গুন্ডা’ যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেছে তাদের গ্রেপ্তার করবেন এবং ‘ইহুদি বিরোধী প্রচারণা’ ছড়ানো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থায়ন ও স্বীকৃতি বাতিল করবেন।

এ সময় ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ভোট দেওয়া ইহুদি ভোটারদের লক্ষ্য ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে হামাস ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারত না। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি অন্য যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে ইসরায়েলের জন্য বেশি কাজ করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি জনগণের ৫০ শতাংশ এই সব লোককে (ডেমোক্র্যাটদের) ভোট দিচ্ছে, যারা ইসরায়েলকে ঘৃণা করে এবং ইহুদিদের পছন্দ করে না। তারা কেন ভোট দিচ্ছে?’

এদিকে, ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র মরগান ফিঙ্কেলস্টেইন বলেছেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমলা হ্যারিস) ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে অটলভাবে তাঁর অবস্থান নিয়েছেন এবং তিনি ইহুদি জনগণের জন্য নিরাপদ, গণতান্ত্রিক আবাসভূমি হিসেবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের আজীবন সমর্থক।’

ফিঙ্কেলস্টেইন আরও বলেন, ট্রাম্পের ইহুদি জনগণকে অবজ্ঞা করার ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী এবং হলোকাস্ট অস্বীকারকারী নিক ফুয়েন্তেসের সঙ্গে ব্যক্তিগত নৈশভোজসহ অতি কট্টরপন্থী ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশার ইতিহাস রয়েছে।

কমলা হ্যারিস মূলত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের প্রতিধ্বনি করেছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি মনোনীত প্রার্থী অবশ্য ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার ওপর বেশি জোর দিয়েছেন। বলেছেন যে তিনি গাজার দুর্দশা সম্পর্কে ‘চুপ থাকবেন না’ এবং যুদ্ধে অনেক নিরীহ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: