যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং অন্যান্য বিষয়কে বিঘ্নিত করার জন্য একটি ইরানি গোষ্ঠী চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছিল। গতকাল শুক্রবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এআই দিয়ে কনটেন্ট বা আধেয় তৈরি করে আসছিল ওই ইরানি গোষ্ঠীটি। তবে তাদের সব অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছে ওপেনএআই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ট্রোম-২০৩৫ নামের ওই গ্রুপ নির্বাচনে উভয় পক্ষের প্রার্থীদের ওপর মন্তব্য, গাজায় সংঘাত এবং অলিম্পিক গেমসে ইসরায়েলের উপস্থিতির মতো বিষয়ে চ্যাটজিপিটি দিয়ে কনটেন্ট বানিয়ে আসছিল। এরপরে তারা সেসব কনটেন্ট সামাজিক মাধ্যমে এবং ওয়েবসাইটে পোস্ট-শেয়ার করত।
মাইক্রোসফটের অংশীদার ওপেনএআইয়ের তদন্তে দেখা গেছে, দীর্ঘ নিবন্ধ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ছোট মন্তব্য তৈরির জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। ওপেনএআই বলেছে, গোষ্ঠীটি দর্শকদের আশাব্যঞ্জক সমর্থন পায়নি। বেশির ভাগ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলো অল্প বা কোনো লাইক, শেয়ার, মন্তব্য পায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসব তেমন শেয়ারও হয়নি।
অ্যাকাউন্টগুলো ওপেনএআই থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কোম্পানি ভবিষ্যতে নীতি লঙ্ঘনের অপচেষ্টার বিষয়েও সজাগ রয়েছে।
আগস্টের শুরুতে মাইক্রোসফটের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরানি নেটওয়ার্ক স্টর্ম-২০৩৫ ছদ্মবেশে চারটি ওয়েবসাইটকে নিউজ আউটলেট হিসাবে ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, এলজিবিটিকিউ অধিকার এবং ইসরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের মতো ইস্যুতে মেরুকরণের বার্তা নিয়ে তাঁদের এই কার্যকলাপ চলছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প আসন্ন ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এআই ফার্মটি মে মাসে বলেছিল, এটি ইন্টারনেটে ‘প্রতারণামূলক কার্যকলাপে’ ব্যবহার করতে চাওয়া পাঁচটি গোপন পরিকল্পনা ব্যাহত করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: