যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে, পারিবারিক সহিংসতার সন্দেহে যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি রয়েছে, তাদের অস্ত্র রাখার সাংবিধানিক অধিকার নেই। খবর বিসিবি। ২১ জুন, শুক্রবার ৮-১ ভোটের ঐতিহাসিক এ রায়ে ৩০ বছরের পুরোনো একটি ফেডারেল আইন বহাল রাখা হলো, যা পারিবারিক সহিংসতার জন্য নিষেধাজ্ঞার আদেশপ্রাপ্তদের আগ্নেয়াস্ত্র রাখা থেকে বিরত রাখে। এর আগে নিম্ন আদালত আইনটিকে ‘ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে বাতিল করে দিয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস রায় ঘোষণা করেন। তার সহকর্মীদের মধ্যে একজন ব্যতীত সকলেই রায়ের পক্ষে মত দেন। ‘যখন কোনো ব্যক্তি অন্যের শারীরিক নিরাপত্তার জন্য স্পষ্ট হুমকি তৈরি করে, তখন সেই হুমকিদাতাকে নিরস্ত্র করা যেতে পারে,’ রায়ে লিখেছেন বিচারপতি রবার্টস।
বিচারপতি ক্লারেন্স থমাস, যিনি আদালতের সবচেয়ে রক্ষণশীল সদস্য হিসেবে পরিচিত, একমাত্র তিনিই ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি লিখেছেন, ‘আজকের সিদ্ধান্ত অনেক আমেরিকান নাগরিকের দ্বিতীয় সংশোধনীর অধিকারকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিলো।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী ‘অস্ত্র রাখা এবং বহন করার’ অধিকার নিশ্চত করে।
এই মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন জ্যাকি রাহিমি নামে টেক্সাসের এক ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে বান্ধবীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সহিংসতা এবং জনসমাগম হয় এমন স্থানে গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
২০২০ সালে, আদালত তার হ্যান্ডগান লাইসেন্স স্থগিত করে এবং যেকোনো আগ্নেয়াস্ত্র রাখা থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করে অস্ত্র রাখা চালিয়ে যান এবং সেই বছরই আরও পাঁচটি গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত হন।
ছোটোখাটো মাদক ব্যবসায়ী রাহিমি বর্তমানে আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে অপরাধ স্বীকার করে টেক্সাসের একটি ফেডারেল কারাগারে ছয় বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তার বিরুদ্ধে গোলাগুলির অভিযোগে আরও মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: