কর্মক্ষেত্রে প্রতারণায় অভিযোগে চাকরি হারালেন একাধিক ব্যাংক কর্মী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ওয়েলস ফার্গ তাদের একাধিক কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। কর্মক্ষেত্রে তারা কাজ না করেও অফিসকে বুঝিয়েছেন তারা কাজ করেছে। খবর বিবিসি।
ওয়েলস ফার্গ ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফিনান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।
কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের জালিয়াতির বিষয়টি খুঁজে বের করেছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা রিমোট কাজ করতেন।
চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন আইন জারি হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাড়িতে বসে কাজ করছেন তাদের প্রতি তিন বছর পর পর কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরতে হবে।
ওয়েলস ফার্গের এক নারী মুখপাত্র লরি কাইট বিবৃতিতে বলেন, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখার জন্য কোনো অনৈতিক পন্থাকে প্রশ্রয় দেব না। করোনাকালীন সময়ে যেসব কর্মীরা বাসায় বসে কাজ করেছেন তাদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য কিছু কোম্পানি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টুলস ব্যবহার করেছে। এই টুলসের মাধ্যমে কর্মীদের চোখের নড়াচড়া এবং কোন কোন সাইটে প্রবেশ করেছে তা পর্যবেক্ষণসহ স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে।
তবে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে কম্পিউটারে কাজ না করেও বুঝানো সম্ভব একজন ব্যক্তি কাজ করছেন। যাকে ‘মাউস জিগলার্স’ বলা হয়। ইকমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামজন জানিয়েছে, গত মাস পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ১০ ডলারে হাজার হাজার মানুষ ক্রয় করেছে।
ওয়েলস ফার্গ জানিয়েছে, কর্মীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা নিজেরা চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে, অন্যথায় তাদের বহিস্কার করা হবে। কারণ তারা বাসায় বসে কম্পিউটারে কাজ না করেও, কম্পিউটার এমনভাবে সচল রেখেছেন, যাতে বোঝা যায় তারা কাজ করেছেন।
ওয়েলস ফার্গ কর্মীদের চাকরিচ্যুত করছে এমন খবর প্রথম প্রকাশিত হয় ব্লুমবার্গে। বিবিসি বলছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের মধ্যে ছয় জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কারণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: