ব্রুকলিন মিউজিয়াম বিক্ষোভকারীদের দখলে একাংশ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ জুন ২০২৪ ১৯:০০

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

নিউইয়র্কে ব্রুকলিন মিউজিয়ামের একাংশ এখন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের দখলে। মিউজিয়ামের মেইন গেটে তারা ব্যানারও ঝুলিয়েছেন, যেখানে তাদের দাবি স্পষ্ট করে লেখা। তারা মিউজিয়ামের লবির অনেকটা জায়গাই দখলে নিয়েছেন। পুলিশ বাঁধা দিলে এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়ান বিক্ষোভকারীরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে খবরটি পাওয়া গিয়েছে।

ব্রুকলিনের নিউইয়র্ক সিটি আর্ট মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিউজিয়াম ভবনটির ভেতরে ও বাইরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধায় এক ঘণ্টা আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

এ সময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিক্ষোভ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানান হবে না।

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের প্রথম সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পরও জাদুঘরের বাইরে চলছিল বিক্ষোভ। তবে কোনো বিক্ষোভকারী মিউজিয়ামের ভেতরে রয়ে গেছেন কি না তা বলতে পারেননি পুলিশের মুখপাত্র।

সংবাদমাধ্যমকর্মীদের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে একজন ব্যক্তি স্প্রে দিয়ে গ্রাফিতি এঁকে একটি ভাস্কর্য বিকৃত করেছিলেন।

মিউজিয়ামের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের প্লাজায় আগের এবং নতুন স্থাপিত বেশ কিছু শিল্পকর্মের ক্ষতি হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ভবনে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁরা আমাদের নিরাপত্তাকর্মীদের শারীরিক ও মৌখিকভাবে হয়রানি করেছেন।’

এক বিবৃতিতে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘মিউজিয়াম ভবন, শিল্পকর্মের সংগ্রহ এবং আমাদের কর্মীদের উদ্বেগের কারণে ভবনটি এক ঘণ্টা আগেই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জনসাধারণকে তখন শান্তিপূর্ণভাবে স্থানটি ছেড়ে যেতেও বলা হয়।’

প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, শত শত বিক্ষোভকারী ব্রুকলিনের মধ্য দিয়ে মিছিল করছিলেন। মিছিলকারীদের কয়েকজন মিউজিয়ামের প্রবেশদ্বারের দিকে ছুটে যান। নিরাপত্তারক্ষীরা অনেককে ঢুকতে বাধা দিলেও কেউ কেউ ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হন।

নিওক্লাসিক্যাল স্থাপত্যশৈলীর মিউজিয়াম ভবনটির প্রবেশদ্বারের ওপর টাঙানো হয় একটি ব্যানার। সেখানে লেখা—‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো, গণহত্যা থামাও।’

‘উইদিন আওয়ার লাইফটাইম’ নামে ফিলিস্তিনপন্থী একটি সংগঠন বিক্ষোভকারীদের ‘গাজার জন্য ব্রুকলিন মিউজিয়াম দখল’ করার আহ্বান জানিয়েছিল। সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েল সম্পর্কিত বিনিয়োগের তথ্য প্রকাশ এবং এ ধরনের আর কোনো বিনিয়োগ যাতে না করা হয় তাতে বাধ্য করতেই মিউজিয়াম দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: