জাতিসংঘে রাইসির স্মরণসভা বয়কট করল যুক্তরাষ্ট্র

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩০ মে ২০২৪ ০৯:৪৭

গ্রাফিক্স গ্রাফিক্স

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতিসংঘের আয়োজিত অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল।

১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান মারা গেলে তাঁর সম্মানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতেও একই ধরনের উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ। এই অনুষ্ঠানে ইব্রাহিম রাইসির ওপর বক্তৃতা দেবেন বিভিন্ন দেশের নেতারা।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এই আয়োজনে অংশ নেবে না উল্লেখ এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা কোনোভাবেই এই আয়োজনে অংশ নেব না।’ ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণসভায় অংশ না নিলেও যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জাতিসংঘ আয়োজিত কোনো স্মরণসভায় অংশ নেয়নি এমনটা জানা যায় না।

ইরানের রাইসিকে কট্টরপন্থী বলে বিবেচনা করা হয় পশ্চিমা বিশ্বে। ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বর্তমান সুপ্রিমো আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরি হবেন তিনি। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে সব সমীকরণ উল্টে গেছে। গত ১৯ মে ইরান-আজারবাইজান সীমান্তের পার্বত্য এলাকায় রাইসি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘জাতিসংঘের উচিত ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ওপর কয়েক দশক ধরে নিপীড়ন চালানো নিপীড়কের স্মৃতিচারণ করা নয়।’ এ সময় ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘রাইসি ১৯৮৮ সালে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দীর বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ অসংখ্য ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মানবাধিকারের কিছু ভয়াবহ এবং সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড তাঁর আমলে ঘটেছে। এর মধ্যে ইরানি নারীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন তাঁর আমলে ঘটেছে।’ অবশ্য ওই কর্মকর্তা কী ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।

এর আগে, রাইসির মৃত্যুর এক দিন পর ২০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় তাঁর স্মরণে। সে সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড অনিচ্ছা সত্ত্বেও উঠে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: