প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে কিন্তু সহিংসতার সুযোগ নেই : বাইডেন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩ মে ২০২৪ ১৭:১৫

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ নিয়ে প্রথমবারের মত মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন : সংগৃহীত ছবি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ নিয়ে প্রথমবারের মত মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন : সংগৃহীত ছবি

দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ নিয়ে প্রথমবারের মত মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে কিন্তু বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা সৃষ্টি করার অধিকার নেই। খবর ইন্ডিয়া টু ডের।

২ মে,বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে, বাইডেন বলেন ভিন্নমত গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা কোনো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নয়। এটা আইনের পরিপন্থী। ভাঙচুর, অনুপ্রবেশ, ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া, ক্লাস ও গ্র্যাজুয়েশন বাতিল করতে বাধ্য করা এসব কোনোটিই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নয়।

৮২ বছর বয়সী বাইডেন বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র একটি কর্তৃত্ববাদী দেশ নয় যে ভিন্নমতকে দমন করবে। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন যে ‘শৃংখলা অবশ্যই প্রাধান্য পাবে’।

গণতন্ত্রের জন্য ভিন্নমত অপরিহার্য। কিন্তু ভিন্নমত কখনই বিশৃঙ্খলা বা অন্যের অধিকারকে অস্বীকার করতে পারে না। তাই ভিন্নমত আছে বলে শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়া শেষ করবে না -তা কখনই নয়।

প্রয়োজনে রাজ্যের গভর্নরদের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যদের ডাকা উচিত কিনা জানতে চাইলে, বাইডেন সাফ জবাব দিয়েছেন ‘না’।

১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা তাঁবু গেড়ে অবস্থান নিয়ে গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ জানাতে থাকে। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের। শুরু হয় ধরপাকড়।

কয়েক সপ্তার বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এরই মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে রিপাবলিকানদের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেছেন ক্যাম্পাসের চলমান অস্থিরতা তাকে মধ্যপ্রাচ্যে তার নীতি পুনর্বিবেচনা বা বদলাতে বাধ্য করতে পারবে না।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: