রাশিয়ার বেলগ্রদ অঞ্চলের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায় ইউক্রেন থেকে আসা সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীরা। এ বিষয়ে এবার কথা বলেছে ওয়াশিংটন। হামলার ঘটনা থেকে নিজেদের দূরত্বে সরিয়ে রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
২২ মে, সোমবার রাশিয়ার বেলগ্রদ অঞ্চলের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায় ইউক্রেন থেকে আসা সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীরা। হামলাকারীদের পরাজিত করেছে রাশিয়া।
ওয়াশিংটন জানায়, “রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর ব্যাপারে তারা কোন উৎসাহ দেয়নি বা সহায়তাও করেনি”। রাশিয়ার বেলগ্রদ অঞ্চলে সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছে ওয়াশিংটন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। এই হামলা শুরুর পর এটিই ছিল ইউক্রেনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের ঘটনা।হামলায় ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হামভিসহ পরিত্যক্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমা সামরিক যানের ছবি পরে প্রকাশ করে রাশিয়া। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে বিভিন্ন খবরাখবর নজরে আসার কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র ওই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে, এমন ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “এসব খবরের সত্যতা নিয়ে তার দেশের সন্দেহ রয়েছে"।
মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুদ্ধটি (রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের) কীভাবে পরিচালিত হবে, তা কিয়েভের বিষয়।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৭০ জন হামলাকারী নিহত হয়েছেন। এই হামলাকারীরা ইউক্রেনীয় ছিলেন বলে জোর দাবি রাশিয়ার। তবে এ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে কিয়েভ।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিরোধী দেশটির দুটি আধা সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এ হামলায় জড়িত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন গত শনিবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত দখলের দাবি করেন। এর পর পরই রুশ সীমান্তে হামলার ঘটনা ঘটল। রাশিয়া এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তারা একে সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সূত্র: বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: