হোয়াইট হাউসের বাইরেই বিক্ষোভ করছিল ইসরায়েলবিরোধীরা, আর ভেতরে একটি নৈশভোজে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে হাস্যরসে মেতে উঠেছিলেন জো বাইডেন। ২৮ এপ্রিল শনিবার রাতে সাংবাদিক, সেলিব্রেটি ও রাজনীতিবিদদের জন্য বার্ষিক এই ভোজসভার আয়োজন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম আইটিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর বেশির ভাগ পূর্বসূরির মতো নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বীকে আক্রমণ করতে হোয়াইট হাউস সংবাদদাতাদের বার্ষিক ভোজসভাকে ব্যবহার করেছেন। আর তিনি এর শুরুটা করেছেন ট্রাম্পের প্রতি সরাসরি কিন্তু হাস্যরসাত্মক একটি উপায়ে।
অতীতে জো বাইডেনকে ‘ঘুমকাতুরে বুড়ো’ বলে একাধিকবার খোঁচা দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ট্রাম্পের ওপর আক্রমণ শানাতে সেই মন্তব্যেরই জের টেনে আনলেন বাইডেন। মুচকি হেসে তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি একজন ছয় বছর বয়সীর বিরুদ্ধে!’
এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের অবস্থানের পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে সমর্থন করেন, সাবেক ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তাঁকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছেন।’
বক্তব্যের পরবর্তী অংশে আগামী নির্বাচনের ঝুঁকি নিয়ে কথা বলেন বাইডেন। তিনি দাবি করেন, এই নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হলে প্রথম মেয়াদের চেয়েও ক্ষতিকর হবে তাঁর এবারের প্রশাসন। এ সময় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিলে ট্রাম্পের সমর্থকদের দাঙ্গা চেষ্টার প্রসঙ্গও টানেন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘আট বছর আগে আমরা এই আলোচনাকে ট্রাম্প-টক হিসাবে লিখতে পারতাম, তবে ৬ জানুয়ারির পরে নয়।’
ভোজসভায় বাইডেনের ভাষণ প্রায় ১০ মিনিট স্থায়ী হয়। এই সময়ের মধ্যে তিনি চলমান যুদ্ধ কিংবা গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। তবে তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ায় আটক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচের মুক্তির আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘পুতিনের উচিত অবিলম্বে ইভানকেও মুক্তি দেওয়া।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: