এক বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। যা দেখতে নানা ধরনের প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা। আবার অনেকে নানা ধরনের সতর্কবার্তাও দিচ্ছেন। ৮ এপ্রিল সোমবার সূর্যগ্রহণ দেখতে জড়ো হওয়া দর্শনার্থীদের চাপ সামলাতে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে নতুন করে বসানো হয়েছে একাধিক টাওয়ার।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্যমতে, ১ থেকে সাড়ে ৪ মিনিট স্থায়ী হবে সূর্যগ্রহণের দৃশ্য। এ সময় সূর্যকে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে। ফলে দিনের বেলাতেই নেমে আসবে রাতের অন্ধকার। আর এই দৃশ্য দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বিশ্বের সাধারণ মানুষ থেকে তাবত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
নিজ চোখে দেখার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে অনেকেই মুঠোফোন বা ক্যামেরায় বন্দি করবেন এমন বিরল দৃশ্য।
ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্যাটি পিলাচোস্কি বলেছেন, অন্য সময়ের তুলনায় সূর্যগ্রহণের সময় মুঠোফোনের ব্যবহার বেড়ে যাবে অনেক গুণ। নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, লাইভস্ট্রিম মিডিয়া ও ভিডিও কলে সক্রিয় হবেন গ্রাহকরা।
এ কারণে অতিরিক্ত চাপ পড়বে ওই সব অঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের ওপর। ভিড় যতো বেশি হবে মোবাইল নেটওয়ার্ক ততই দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই মোবাইল এবং ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে অঞ্চলগুলোর মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ভেরাইজনের মুখপাত্র ক্রিস সেরিকো বলেন, সূর্যগ্রহণের কারণে তাদের ওয়্যারলেস সেবা কোনোভাবেই ব্যাহত হবে না। কিন্তু ব্যবহারকারীর সংখ্যা মুঠোফোন বা মোবাইল টাওয়ারের ধারণ ক্ষমতার বাইরে হলে মোবাইল সংযোগ পেতে অসুবিধা হতে পারে।
এজন্য নিউইয়র্কের নায়াগ্রা ও এরি কাউন্টিতে ১৯টি, ওহাইও অঙ্গরাজ্যের উত্তর পূর্বের ৬টি কাউন্টিতে ৬০টি এবং ডালাস এলাকায় ৩৭৫টি নতুন মুঠোফোন নেটওয়ার্ক পরিসেবা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে অতিরিক্ত ক্ষমতা যোগ হবে। যার ফলে মোবাইল ব্যবহারকারীরা কম ভোগান্তিতে পড়বেন।
সোমবার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের মহাজাগতিক দৃশ্য সরাসরি দেখা যাবে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে। আর তাই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এই তিন দেশের লাখ লাখ বাসিন্দা। যেসব স্থান থেকে সরাসরি সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, সেসব জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: