বিশ্বের ৪৩টি দেশের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ কলেরার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিষয়টি অশনিসংকেত হিসেবে চিহ্নিত করে জাতিসংঘ বলছে, অবিলম্বে পদক্ষেপ না নিলে ‘কলেরা বিপর্যয়ের’ মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব।
১৯ মে শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা করেছে জাতিসংঘ।
বৈশ্বিক সংস্থাটি বলছে, এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তাদের হাতে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। যত দেরি হবে, পরিস্থিতির তত অবনতি হবে। এই সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফের জন্য ৬৪ কোটি ডলার চাইছে জাতিসংঘ। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ২৪টি দেশ কলেরা প্রাদুর্ভাবের কথা জানিয়েছে। গত বছরের মধ্য মে নাগাদ এই সংখ্যা ছিল ১৫।
ডব্লিউএইচও'র বৈশ্বিক কলেরা মোকাবিলার ইনসিডেন্ট ম্যানেজার হেনরি গ্রে বলেন, ডব্লিউএইচওর আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের ৪৩টি দেশের ১০০ কোটি মানুষ কলেরার ঝুঁকিতে আছে। কলেরায় আক্রান্ত দেশের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই রোগ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় যে সম্পদ হাতে ছিল, তা আরও কমেছে।
তিনি প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার জন্য দারিদ্র্য, সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষের বাস্তুচ্যুতিকেও দায়ী করেছেন।
ইউনিসেফের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি ইউনিটের প্রধান জেরোম ফাফম্যান জামব্রুনি বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ‘একটি সতর্কবার্তা’। এই মহামারি আমাদের চোখের সামনে গরিবদের হত্যা করছে আর আমরা জানি এটা কীভাবে ঠেকাতে হয়। আমাদের বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সহায়তা এবং কম নির্বিকার আচরণ প্রয়োজন। কারণ আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: