সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে জরিমানার আদেশ দেয়ায় বিচারকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার মিশিগানে এক অনুষ্ঠানে জরিমানার আদেশ দেয়া ওই বিচারককে দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প।
সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে ১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতের বিচারক আর্থার এনগোরন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেছেন। তবে সুদসহ এই অংক দাঁড়াতে পারে ৪৫ কোটি ডলার।
নিউইয়র্ক রাজ্যের কোনো ব্যাংক থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ঋণ নেয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন বিচারক। একইসঙ্গে ট্রাম্প তার কোম্পানির পরিচালকও থাকতে পারবেন না বলে আদেশ দেয়া হয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালত এ রায় দেন। তবে, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের আইনজীবী।
জানা যায়, ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালত ট্রাম্পকে অর্থদণ্ড দেন। একইসঙ্গে নিউইয়র্কের ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয় ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের।
রায়ে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে নিজের এবং তার দুই ছেলের নামে থাকা সম্পদের মূল্য অনেকগুণ বেশি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। উল্টো রায় দেয়া ওই বিচারক দুর্নীতিবাজ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের একজন দুর্নীতিবাজ বিচারক আছেন। তিনি সম্মানিত ব্যক্তি নন। আমরা নিউইয়র্কে কয়েক ১০ হাজার লোক নিয়োগ করেছি। একই সঙ্গে যথাযথ নিয়ম মেনে কর পরিশোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনি সারা জীবন দেখে আসছেন এসব ঘটনা রাশিয়া ও চীনে হয়েছে। এখন এটি আমাদের দেশেই ঘটছে।
ট্রাম্প বলেন, এসব বন্ধ করতে হবে। আমরা আবার আমেরিকাকে মহান করে তুলবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: