ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশ গ্রিস তাদের জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশেরও বেশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করায় দেশটিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গ্রিসের সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় ২০১৪ সালে ন্যাটোর ওয়েলস সামিটে সম্মত হওয়া জিডিপির ২ শতাংশ নির্দেশিকার চেয়েও বেশি।
ন্যাটোর সদস্যদেশগুলো ২০১৪ সালে ওয়েলস-এ তাদের শীর্ষবৈঠকে ২০২৪ সালের মধ্যে জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ শেষে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ জেরাপ্টেরিটিস ও যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, “গ্রিস তার প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশেরও বেশি ব্যয় করে ওয়েলস সামিটের প্রতিশ্রুতি অতিক্রম করায় যুক্তরাষ্ট্র গ্রিসের প্রশংসা করছে। প্রতিরক্ষা খাতে গ্রিসের ব্যয়ের ৪৫ শতাংশ ভারি সরঞ্জাম কেনার জন্য ও আধুনিকীকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।”
বিবৃতিতে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে গ্রিসে আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পূর্ব ও উত্তর ইউরোপে শক্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র গ্রিসের আলেকজান্দ্রোপলি বন্দর ব্যবহার করে যাবে।
দেশ দুটি পারস্পরিক স্বার্থে আঞ্চলিক বিষয় যেমন চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, লোহিত সাগরে জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণ, ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ইউরোপ ও এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রচারে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় গ্রিসের মানবিক সহায়তা, ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন, লোহিত সাগরে হুথির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে গ্রিসের অংশগ্রহণ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন নৌ অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য গ্রিসের প্রশংসা করছে।
এছাড়াও ন্যাটো সদস্যভুক্ত প্রতিবেশি দুই দেশ গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: