যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক আয়তন পূর্বের তুলনায় ৬.২১ লাখ বর্গ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আয়তনের হিসেবে প্রায় স্পেনের দ্বিগুণ।
গত মাসে আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্ট মোট ছয়টি অফশোর অঞ্চলকে মূল ভূখন্ডের সাথে যুক্ত করে; যা সংক্ষেপে ইসিএস নামে পরিচিত। আউটলেট মেট্রোর এক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ইসিএস হল সমুদ্রের মহাদেশীয় শেলফের এক এলাকা যা ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অগভীর জলের নীচে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বৃহত্তম ইসিএস এলাকা হল আর্কটিক, যা উত্তরে ৩৫০ মাইল এবং পশ্চিমে ৫৮০ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্যমতে, এগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চল যা বহু মূল্যবান সম্পদের পাশাপাশি সামুদ্রিক জীবের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
সংস্থাটি তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের ইসিএস মোট ছয়টি অঞ্চল নিয়ে। সেগুলো হচ্ছে, আটলান্টিকের পূর্ব উপকূল, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূল, বেরিং সাগর, মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ ও মেক্সিকো উপসাগরের দুটি অংশ।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, "অন্যান্য দেশের মতোই যুক্তরাষ্ট্রের ইসিএস এবং এর অধীনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল সংরক্ষণ এবং পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অধিকার রয়েছে।"
ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আর্কটিক অঞ্চলে নিজেদের আঞ্চলিক অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসিএস এক্সটেনশনের বড় প্রভাব রয়েছে।
থিংক ট্যাংকটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, "এটি দীর্ঘদিন ধরে স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্রের তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ এবং জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ সমুদ্রের তলদেশে প্রধান অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। একইসাথে এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক আইনের অধীনে সার্বভৌম অধিকার রয়েছে।"
উইলসন সেন্টার আরও বলেছে যে, "বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে; যা সমুদ্রে নিমজ্জিত অঞ্চলগুলিতে সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে।"
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: