যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পাল্টা জবাবে তাদের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করল হুতিরা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৫ জানুয়ারী ২০২৪ ০৭:০৮

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। তাদের এসব হামলার সমুচিত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকারও করেছেন হুতি যোদ্ধারা। এবার সেই কথা কাজে পরিণত করে দেখাল ইরানপন্থি এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। লোহিত সাগরে একটি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ নিশানা করে হুতিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে লোহিত সাগরের যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাবুনের দিকে ছোড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। হোদেইদা উপকূলের আশপাশে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত সপ্তাহে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। মূলত ইরানপন্থি এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সামরিক স্থাপনা নিশানা করেই শুক্রবার ভোরে ও রাতে দুই দফা হামলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, লোহিত সাগরে বিদেশি জাহাজে হুতিদের হামলার সক্ষমতা খর্ব করতে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা করেছে তারা।

গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের সমর্থনের অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে তারা। নভেম্বরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট গ্যালাক্সি লিডার জাহাজ জব্দ করার পর থেকে অন্তত ২৬টি জাহাজে হামলা চালিয়েছেন হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বিভিন্ন জাহাজ কোম্পানি হয় লোহিত সাগর এড়িয়ে ভিন্ন পথে গন্তব্যে যাচ্ছে নতুবা চুক্তিই বাতিল করে দিচ্ছে।

লোহিত সাগর দিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ বিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়। তবে হুতিদের হামরার জেরে এর পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।

এর আগে গতকাল রোববার হুতি মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের আকাশসীমা ও উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি বিমান উড়িয়ে তাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজে হামলার কোনো সংযোগ আছে কি না, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: