তাইওয়ানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাইরে থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ও প্রভাব খাটানোর চেষ্টার বিরোধিতা করা হবে বলে চীনের উদ্দেশে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার বাইডেন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই হুঁশিয়ারি দেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাইওয়ানে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিরোধ বেশ পুরোনো। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্প্রতি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও সামরিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের বিষয়ে একমত হন। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এক বৈঠকে এ বিষয়ে একমত হন দুই নেতা। এর মধ্যে তাইওয়ানের নির্বাচন নিয়ে আবার চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা বলেন, ‘তাইওয়ানের নির্বাচনে বাইরে থেকে যেকোনো হস্তক্ষেপ ও প্রভাবের বিরোধিতা করছি আমরা। নির্বাচনে যে–ই জয় পায় না কেন, তাইওয়ান নিয়ে আমাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক একইভাবে চলমান থাকবে।’
আন্তর্জাতিক মহলে তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় মিত্র ওয়াশিংটন। সেই সঙ্গে তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারীও যুক্তরাষ্ট্র। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে। তাইওয়ান নিয়ে চীনের এমন অবস্থানের বিপক্ষে ওয়াশিংটন। আর এটা নিয়েই বেইজিং-ওয়াশিংটনের বিরোধ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের পর তাইওয়ানে অনানুষ্ঠানিক প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। গতকাল বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: