যুক্তরাষ্ট্রে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাপান। দেশের অস্ত্র রপ্তানি নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আনার পরই এই ঘোষণা দিল দেশটি।
জাপান সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। জাপানের এই পদক্ষেপের ফলে এবার নিজস্ব মজুত থেকে ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট পাঠাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
এতদিন শুধু অস্ত্রের সরঞ্জাম রপ্তানি করতে পারত টোকিও। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুরোধে শুক্রবার জাপান তাদের রপ্তানি নীতি পরিবর্তন করে। ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো এই নীতিতে পরিবর্তন এনেছে টোকিও।
নতুন রপ্তানি নীতি অনুযায়ী চূড়ান্ত পণ্যও রপ্তানি করা যাবে। শুক্রবার এই ঘোষণার পরপরই জাপানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাপান-যুক্তরাষ্ট্র জোটকে আরও শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে তারা।
তবে এখানেও কিছুটা বিপত্তি রয়েছে। জাপানি এসব ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা শুধু যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো যাবে। তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে হলে আগে জাপানের অনুমতির প্রয়োজন হবে। আর জাপানে এখনো যুদ্ধরত দেশে অস্ত্র রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এর মানে হলো ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা পাঠালেও জাপানের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মজুত পুনরায় পূরণ করতে পারবে।
প্যাট্রিয়ট হলো ভূমি থেকে আকাশে নিরক্ষেপযোগ্য একটি ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান রেথিয়ন এসব ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা তৈরি করে। জাপানে এই ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা তৈরি করে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ।
ব্যয়বহুল এই ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা দিয়ে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, যুদ্ধযান ধ্বংস করা সম্ভব। বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি মিত্র দেশে যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা মোতায়েন করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: