বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরানকে ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম সরবরাহ করায় ১০ প্রতিষ্ঠান ও ৪ ব্যক্তির একটি চক্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানের তৈরি চালকহীন বিমান (ইউএভি) ব্যবহার করা হচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বলছে, তেহরানকে সংবেদনশীল সরঞ্জাম সরবরাহ করায় বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে ইরান, মালয়েশিয়া, হংকং এবং ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক অ্যাজেন্ট, ফ্রন্ট কোম্পানি এবং লজিস্টিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই চক্র সাইবার যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং অস্ত্র তৈরির ইরানভিত্তিক গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের জন্য কয়েক হাজার ডলার মূল্যের বিদেশি সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে। ইরান মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়ায় তার সন্ত্রাসী মিত্রদের ইউএভি সরবরাহ করছে বলে মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ।
চক্রটির কথিত নেতা ইরানের হোসেন হাতেফি আরদাকানির বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার একটি অভিযোগপত্র প্রকাশ করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। আরদাকানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মাইক্রোইলেক্ট্রনিকস অবৈধভাবে কেনা ও ইরানে রপ্তানি করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্র অনুসারে, আরদাকানি ও তাঁর সঙ্গীরা সংবেদনশীল সরঞ্জাম রপ্তানিতে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ এড়াতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছিল। তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে চীনা নাগরিক গ্যারি লামও রয়েছেন।
ওয়াশিংটন দীর্ঘকাল ধরেই তেহরানের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ করে আসছে। ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। তবে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের শহর ও অবকাঠামোতে ইউএভি ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনে রাতারাতি হামলা চালানো ১৯টি ড্রোনের মধ্যে ১৮টিই ধ্বংস করেছে তারা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: