জর্জিয়া রাজ্যের একটি স্কুলে ক্লাসে ইসরাইলি পতাকা নিয়ে আপত্তি করায় এক শিক্ষার্থীকে শিরশ্ছেদ করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন এক শিক্ষক। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের মধ্যে সম্প্রতি এই হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সামনে আসার পরই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। যার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সারাবিশ্বের মানুষ। দেশে দেশে ইসরাইলের এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে প্রতিদিনই বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হচ্ছে। তবে কিছু মানুষ ইসরাইল যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তার পক্ষেই সমর্থন দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, যারা ইসরাইলের নিন্দা জানাচ্ছে তাদেরকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
তেমনই একজন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার স্কুলের শিক্ষক বেনিয়ামিন রিজ। ওয়ার্নার রবিনস মিডল স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞানের তালিকাভুকত শিক্ষক তিনি।
ফিলিস্তিন বিদ্বেষী এই শিক্ষকই সম্প্রতি তার ক্লাসে ইসরাইলি পতাকা নিয়ে মন্তব্য করায় এক শিক্ষার্থীকে শিরশ্ছেদের হুমকি দেন। যা ওই স্কুলেরই অপর এক শিক্ষক গণমাধ্যমে জানিয়ে দেন।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদন মতে, স্কুলের অপর এক শিক্ষক জানান, গত ৭ ডিসেম্বর স্কুলের হলওয়েতে তিন শিক্ষার্থীর ওপর বেনিয়ামিন রিজকে উচ্চস্বরে ও রাগান্বিত হয়ে কথা বলতে শোনেন তিনি। ওই সময় তিনি ছাড়া স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরেক শিক্ষক জানান, রিজ এক শিক্ষার্থীকে শিরশ্ছেদের হুমকি দেন। হুমকির বিষয়টি পুলিশকে জানান ওই শিক্ষার্থীরা। তিনজন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন ছাত্রী পুলিশকে জানান, ক্লাস চলাকালে তিনি তার শিক্ষক রিজকে শ্রেণীকক্ষে ইসরাইলি পতাকা ঝুলিয়ে রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করেন।
এর জবাবে রিজ জানান, তিনি একজন ইহুদি এবং তার পরিবারের সদস্যরা এখনও ইসরাইলেই থাকেন। তখন ওই ছাত্রী রিজের কথার জবাবে বলেন, ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে।
ওই ছাত্রী আরও জানান, ইসরাইলি পতাকা নিয়ে তার ওই মন্তব্যের পর শিক্ষক রিজ তাকে ক্লাসে আটকে রাখেন এবং তার শ্রেণীর প্রথম পিরিয়ডের শিক্ষকের নাম জানার চেষ্টা করতে থাকেন।
আরেকজন শিক্ষক জানান, তিনি রিজকে বলতে শোনেন যে, তিনি ওই ছাত্রীকে বলছেন, ‘এমন ইহুদি বিদ্বেষী কথা বলা বন্ধ কর।’ এরপর ওই স্কুল শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও শিশুদের ওপর নিষ্ঠুরতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: