গাজার হাসপাতালগুলো অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে : বাইডেন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৮

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন : সংগৃহীত ছবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন : সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে ইসরায়েলের ‘কম হস্তক্ষেপমূলক’ পদক্ষেপের বিষয়ে নিজের আশার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

এছাড়া বাইডেন এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন গাজার প্রধান হাসপাতালের গেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো। ১৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো গাজা শহরের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালের বাইরে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি টানেলে হামাস কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছে। তবে হামাস এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করেছে।

১৩ নভেম্বর সোমবার আল শিফা হাসপাতালে ছিলেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা। তিনি বলেন, উত্তর গাজায় অবস্থিত এই হাসপাতালটিতে অবরোধ এবং বিদ্যুতের অভাবের কারণে তিন নবজাতকসহ আগের তিন দিনে ৩২ জন রোগী মারা গেছেন।

এই পরিস্থিতিতে গাজার হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জো বাইডেন। ১৩ নভেম্বর সোমবার হোয়াইট হাউসে ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার আশা এবং প্রত্যাশা হচ্ছে- হাসপাতালগুলোতে তুলনায়মূলক কম পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং আমরা ইসরায়েলিদের সাথে যোগাযোগ রাখব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্দিদের মুক্তির পাশাপাশি সংঘাতে বিরতির প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে এবং সেই সাথে কাতারের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে ...। সুতরাং (এ বিষয়ে) আমি কিছুটা আশাবাদী, তবে হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

রয়টার্স বলছে, গাজার আল শিফা হাসপাতালের ভেতরে এখনও কমপক্ষে ৬৫০ রোগী রয়েছেন। হাসপাতালটির পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের অন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: