স্কুল চলছিল। তারমধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের নাকে আসে তীব্র দুর্গন্ধ, যা কিনা অবিকল মলমূত্র বা বমির মতো। আর এতে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অবস্থা এমন যে ছয় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এমনকি কয়েক দিনের জন্য বন্ধই রাখতে হয় স্কুলটি। পরে জানা গেছে, স্কুলে মজা করে দুর্গন্ধযুক্ত রাসায়নিক স্প্রে করেছিল এক শিক্ষার্থী।
ঘটনার শুরু গত বুধবার। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ক্যানে ক্রিক হাইস্কুলে সেদিন প্রথম দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। দুর্গন্ধ কোথা থেকে ছড়িয়েছে, তা বের করতে পুরো স্কুল ভবনে খোঁজ চালান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে দুর্গন্ধের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিনও দুর্গন্ধ ছিল। তারপরও খোলা হয় স্কুল। এর পরপরই দেখা দেয় আসল বিপত্তি। দুর্গন্ধের কারণে প্রচণ্ড মাথাব্যথার শিকার হয় ছয় শিক্ষার্থী। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ে অন্তত আটজন। ফলে বাধ্য হয়ে পরবর্তী কয়েক দিনের জন্য স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও স্কুলের বাতাসের মান ঠিক ছিল বলে নিশ্চিত করেছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
তাহলে দুর্গন্ধ এল কোথা থেকে? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে সামনে আসে অবাক করা এক তথ্য। গত শুক্রবার স্কুলেরই এক শিক্ষার্থী স্বীকার করে, দুর্গন্ধযুক্ত রাসায়নিক স্প্রে করেছে সে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, সে একা নয়, সঙ্গে জোট বেঁধে এ কাজ করেছে কয়েকজন শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই স্প্রের নাম ‘হেনসগাউক্ট ফার্ট স্প্রে’। সাধারণত মজা করতেই এটা ব্যবহার করা হয়। এটি মলমূত্র ও বমির মতো দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।
এদিকে বিষয়টি এখানেই শেষ করতে নারাজ স্কুলের অধ্যক্ষ জেফ স্টিচলার। এক ই–মেইলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের তিনি বলেন, ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি ও টেক্সাসের আইন অনুযায়ী এর সুরাহা করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: