ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় কাজ করে যাওয়া আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে ইন্টারনেট সেবা দেবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্টার লিংক। ২৭ অক্টোবর শুক্রবার রাতে ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় পুরোপুরি ব্ল্যাকআউটে চলে যায় অঞ্চলটি। এর পরপরই ইলন মাস্কের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এল। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল ২৮ অক্টোবর শনিবার টেসলা, স্পেসএক্স ও এক্সের (সাবেক টুইটার) মতো প্রতিষ্ঠানের মালিক ইলন মাস্ক গাজায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে ইন্টারনেট সরবরাহের ঘোষণা দেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে শেয়ার করা এক টুইটে এই ঘোষণা দেন।
টুইটে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘গাজায় কর্মরত আন্তর্জাতিক সহায়তা সংগঠনগুলোকে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা দেবে স্টার লিংক।’ এই টুইটের ঘণ্টাখানেক পর তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সহায়তা গোষ্ঠীগুলোকে সহযোগিতা দেব।’
এর আগে বিদ্যুতের সংযোগ কিংবা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় গাজার অভ্যন্তরে তো বটেই, গাজা থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করারও কোনো পথ খোলা নেই। সব ধরনের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জ্যেষ্ঠ প্রযুক্তি মানবাধিকারবিষয়ক গবেষক ডেবোরাহ ব্রাউন বলেছেন, গাজায় একপ্রকার কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট চলছে। গাজাবাসী নিজের প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। এমনকি চিকিৎসাসহ অন্য কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাও গ্রহণ করতে পারছে না।
ডেবোরাহ ব্রাউন এ সময় ইসরায়েলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এই ইনফরমেশন ব্ল্যাকআউটের ফলে ব্যাপক নৃশংসতা আড়াল ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য (ইসরায়েলের) দায়মুক্তিতে অবদান রাখার ঝুঁকি রয়েছে।’
একই কথা বলেছে আরেক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলেছে, ‘কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউটের অর্থ হলো, গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে সমালোচনামূলক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া আরও কঠিন হবে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: