গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের বিক্ষোভ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:১০

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত


গাজায় যুদ্ধবি বিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে বিক্ষোভ শুরু করেছে ইহুদিরা। ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে তারা এবং বাইডেন প্রশাসানকে যুদ্ধ বিরতির জন্য চাপ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইহুদিবাদী বিরোধী সংগঠন ইহুদি ভয়েস ফর পিস এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে।


শতাধিক বিক্ষোভকারী কালো টি-শার্ট পরে ভিড় জমিয়েছে এবং তাদের স্লোগান ছিল, ‘ইহুদিরা বলছে এখনই যুদ্ধবিরতি দাও’ এবং ‘আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয়’ বার্তা। তাদের মধ্যে অনেকেই ঐতিহ্যবাহী ইহুদি টুপি কিপ্পা পরে এসেছেন।

বিক্ষোভকারীরা কংগ্রেসের একটি ভবন ক্যানন রোটুন্ডা দখল করে গান গাইতে শুরু করে এবং ব্যানার নাড়াতে থাকে। এ সময় তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইউএস ক্যাপিটল পুলিশের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল এক্স-এ পোস্ট করা হয়েছে, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ বন্ধ করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছিলাম এবং যখন তারা তা মানেনি আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছি।’

এএফপি জানিয়েছে, ফিলাডেলফিয়ার এক বাসিন্দা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন এবং বাইডেনকে ‘চোখ খুলার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

এক বিক্ষোভকারী এএফপিকে বলেছেন, ‘গাজায় কী ঘটছে তা দেখুন। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ দেখুন। আপনি যদি নিজের সঙ্গে বাঁচতে চান, তাহলে আপনাকে উঠে দাঁড়াতে হবে এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। আমি এখনই যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশরা হাতকড়া পরিয়ে বিক্ষোভকারীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং ব্যানার সরিয়ে দিচ্ছে। ভিজ্যুয়ালগুলোতে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্র্যান্ডন উইলিয়ামসকে সংহতির চিহ্ন হিসেবে একটি ইসরায়েলি পতাকা নেড়ে দেখানো হয়েছে যখন বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে অবস্থান নিয়েছিল।

ইসরায়েলের ওপর হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা এবং নৃশংস পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৮০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধের দাবিতে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ আরও বেড়েছে যখন হাসপাতালে ভয়ানক হামলা চালানো হয়েছে এবং এতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

হাসপাতালে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে হামাস। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেল আবিব। তারা বলেছে, হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদের ভুল করে ছোড়া একটি রকেট বিস্ফোরিত হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুধবার তেল আবিব পৌঁছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকের সময় বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, তিনি একটি ‘সহজ কারণে’ সফর করছেন।

বাইডেন বলেন, ‘আমি চাই ইসরায়েলের জনগণ এবং বিশ্বের জনগণ জানুক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। হামাসের হামলায় নিহতদের মধ্যে ৩৩ জন আমেরিকান নাগরিকও ছিলেন। তারা এমন দুষ্ট এবং নৃশংসতা করেছে যা আইএসআইএসের নাশকতার পুনরাবৃত্তি। হামাস সমস্ত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং এটি তাদের জন্য কেবল দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: