ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সমর্থনকারী ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়ার চেষ্টায় বাধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, যদি আবার ক্ষমতায় যেতে পারেন, তবে হামাস সমর্থনকারীদের অভিবাসী হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, হামাসের সমর্থনে কোনো বিক্ষোভ হলে তা দমন করতে পুলিশ পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে হামাসকে সমর্থন জোগানো অভিবাসীদের ধরে ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হবে।
রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প ২০১৭-২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনেও লড়তে চান তিনি। এ জন্য ইতিমধ্যে প্রচারণায় নেমেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার আইওয়াতে প্রচারণায় অংশ নিয়ে ট্রাম্প এসব কথা বলেন।
এ সময় ট্রাম্প বলেন, যাঁরা ইসরায়েলের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, তিনি আবারও ক্ষমতায় গেলে তাঁদের আমেরিকায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে। এ ছাড়া এমন ‘বিদ্বেষী’ বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়া হবে না।
ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত দেশগুলোর মানুষের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাঁর প্রশাসন। তবে কী উপায়ে এসব প্রতিবন্ধকতা কার্যকর করা হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি ট্রাম্প।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের এমন নীতি আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কেননা, প্রেসিডেন্ট থাকাকালেও ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বাস্তবায়ন আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
ট্রাম্পের আমলে কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল। তবে আদালত এ পদক্ষেপে বাধা দেন। পরবর্তীকালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে ট্রাম্পের ওই নীতি বাতিল করে দেন।
এদিকে ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও শান্তি ফেরেনি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। একের পর এক ইসরায়েলি হামলায় কেঁপে উঠছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড। এ সংঘাতের সূচনা ৭ অক্টোবর। ওই দিন ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
এর পর থেকে গাজায় টানা বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। দুই পক্ষে প্রাণ গেছে চার হাজারের বেশি মানুষের। অবরুদ্ধ গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। এ পরিস্থিতিতে ১৮ অক্টোবর, বুধবার ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সূত্র : রয়টার্স
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: