ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধের মাঝে আটকা পড়া আমেরিকান নাগরিকদের একটি দল অবশেষে ইসরায়েল ছেড়েছে। ১৬ অক্টোবর সোমবার আমেরিকান নাগরিকদের বহনকারী রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের একটি প্রমোদতরী সাইপ্রাসের উদ্দেশ্যে ইসরায়েল ছেড়েছে।
ইসরায়েলের হাইফা বন্দর থেকে এই প্রমোদতরী যাত্রা শুরু করে। রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের একটি প্রমোদতরীতে করে সাইপ্রাসের উদ্দেশ্যে ইসরায়েলের হাইফা বন্দর ছেড়েছেন আমেরিকান কিছু নাগরিক।
এর আগে, ১৫ অক্টোবর রোববার ইসরায়েলে নিযুক্ত আমেরিকান দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রমোদতরীটি সোমবার হাইফা বন্দর ছেড়ে যাবে এবং সাইপ্রাসের লিমাসোল বন্দরে পৌঁছানোর আগে সমুদ্রে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাটাবে।
নাগরিকরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রমোদতরীতে থাকবেন এবং লিমাসোল বন্দর থেকে পরবর্তী ভ্রমণের ব্যবস্থা তাদের নিজেদেরই করতে হবে।
যুদ্ধের মাঝে ইসরায়েল ছাড়তে মরিয়া কয়েক ডজন আমেরিকান নাগরিক সোমবার সকাল থেকেই ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে অবস্থান নেন। জেরুজালেমে নিযুক্ত আমেরিকান দূতাবাস ইসরায়েল ত্যাগে ইচ্ছুক নাগরিকদের জন্য রোববার নিরাপত্তা সতর্কতা জারি ও তা অনুসরণের পরামর্শ দেওয়ার পর হাইফা বন্দরে ভিড় জমতে শুরু করে।
নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়, ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধের কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় আমেরিকান নাগরিক এবং তাদের স্বজনদের জন্য হাইফা বন্দর থেকে সাইপ্রাসের উদ্দেশ্যে একটি প্রমোদতরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রমোদতরীতে করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রথমে সাইপ্রাস এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে উঠতে পারবেন তারা।
গোলান মালভূমির কাৎজরিন শহরে থেরাপিস্ট হিসেবে কাজ করেন আমেরিকান নাগরিক আরিয়েলা কেশেট। তিনি বলেন, ইসরায়েল ছেড়ে যাওয়া নিয়ে আমার মিশ্র অনুভূতি তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি, যুদ্ধের মাঝে চলে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। চার সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ইসরায়েল ছেড়েছেন তিনি।
প্রমোদতরীতে চেপে বসার আগে আমেরিকান অপর এক নাগরিক বলেন, আমি ভীত নই। হিজবুল্লাহ এবার হাইফায় রকেট ছুড়বে বলে আমি মনে করি না। তবে সব ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আগে ইসরায়েল ছেড়ে যাওয়ার এটা একটা সুযোগ।
সূত্র: সিএনএন, টাইমস অব ইসরায়েল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: