ইসরায়েলকে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরি পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৫৩

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার : সংগৃহীত ছবি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার : সংগৃহীত ছবি


ইসরায়েলকে রক্ষায় ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে ইরান, ইরানের মিত্র বলে পরিচিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য স্বাধীনকামী গোষ্ঠী যেন হামাসের পক্ষ নিতে না পারে, সেই লক্ষ্যে রণতরিটি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন স্থানীয় সময় গতকাল ১৪ অক্টোবর শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ারকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ারে ৯ স্কোয়াড্রন (সর্বনিম্ন ৭২টি এবং সর্বোচ্চ ২১৬টি) যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর পাশাপাশি দুটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজারও পাঠানো হয়েছে।

লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, শিগগিরই ভূমধ্যসাগরে থাকা আরেক আমেরিকান বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ডের সঙ্গে টহলে যোগ দেবে ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার ও অন্য তিনটি জাহাজ। যাতে করে ইসরায়েলের ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করা যায় এবং এই অঞ্চলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী হামাসকে কোনো ধরনের সহযোগিতা দেওয়া থেকে অন্যান্য পক্ষকে নিষ্ক্রিয় রাখা যায়।

এ বিষয়ে লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের যে দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে তার প্রদর্শন এবং এ ছাড়া যেন কোনো অরাষ্ট্রীয় শক্তি এই যুদ্ধে হামাসের পক্ষ হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের উসকানি না দিতে পারে তা নিশ্চিত করা।’

এদিকে আট দিনের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বারত দিয়ে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৯ হাজার ৪২ জন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান, স্থল এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

 

সূত্র : এএফপি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: