যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বরফ কি কিছুটা গলবে? সপ্তাহান্তে এ বিষয়ে বহু আলোচনা হয়েছে কূটনৈতিক মহলে। কারণ, মাল্টায় গত শনি ও রোববার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টার দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। আলোচনায় তাইওয়ান সংকট নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতিতে এই খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জেক সুলিভানের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উইয়ের বৈঠক হয়েছে। দুই দেশই নিজেদের মধ্যে আলোচনার রাস্তা খোলা রাখতে চাইছে। চীনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানেও বলা হয়েছে, দুই কূটনীতিকের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
ওয়াং তাইওয়ানের প্রসঙ্গ তুলেছেন বৈঠকে। বলেছেন, তাইওয়ান নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ওপর।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, কূটনৈতিক রাস্তা খোলা রাখার জন্য তাইওয়ান অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই বৈঠকের পর দুই দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। বালির জি-২০ বৈঠকে শেষবারের মতো বাইডেন ও সি চিন পিংয়ের কথা হয়েছিল। নয়াদিল্লি বৈঠকে সি যাননি।
বস্তুত দুই প্রধানের বৈঠকের আগে একাধিক আমেরিকান উচ্চপদস্থ কর্তা চীনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও বৈঠক করেছেন।
এদিকে ইতিমধ্যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়ায় যাচ্ছেন। চীন জানিয়েছে, নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনার জন্য তিনি রাশিয়ায় যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক অতীতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও চীন একাধিক বৈঠক করেছে। নিরাপত্তাবিষয়ক একটি চুক্তিও তারা সই করেছে। সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়ায় যাচ্ছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: