যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রগতিশীল ও মুসলিম কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকে। ইসরায়েলের সমালোচনা করা, ফিলিস্তিনে দমনপীড়নের জন্য ইসরায়েলকে তিরস্কার করা এবং কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্যদের কাছ থেকে ধর্মান্ধতার অভিযোগ ওঠায় তাঁকে কমিটি থেকে সরানো হয়েছে।
ইলহান ওমরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে ২১৮-২১১ ভোটে তাঁকে পদ থেকে সরানোর প্রস্তাব পাস হয়। মার্কিন কংগ্রেসে যে দুজন মুসলিম নারী সদস্য রয়েছেন, তাঁদের একজন ইলহান ওমর।
ইলহানের জন্মস্থান সোমালিয়া। ওই দেশ থেকে আসা প্রথম আমেরিকান-মুসলিম আইনপ্রণেতা তিনি। ২০১৬ সালে মিনেসোটা থেকে কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। অভিবাসী ও শরণার্থী ইস্যু নিয়ে কাজ করেন তিনি।
ভোটাভুটির আগে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা যুক্তি দেখান, ইলহান ওমর বিভিন্ন সময় ইহুদি ও ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে কাজ করার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
তবে ইলহানের অভিযোগ, ব্যক্তিগত পরিচয়ের কারণে তাঁকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি অভিবাসী হন, বিশ্বের একটি প্রান্ত থেকে এসে থাকেন, আপনার গায়ের রং ভিন্ন হয় কিংবা আপনি মুসলিম হন, তাহলে তাঁরা (রিপাবলিকানরা) আপনাকে সন্দেহ করবেন। এমনকি এটা কোনো দুর্ঘটনা নয় যে রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও একজন মুসলিম হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন।’
পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ফলে তাঁকে নিবৃত্ত করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন ইলহান ওমর। এদিকে ইলহান ওমরকে কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে রিপাবলিকানদের একটি ‘রাজনৈতিক অবস্থান’ ও ‘আমেরিকান জনগণের প্রতি অপমান’ বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, ইলহান ওমর কংগ্রেসের একজন সম্মানিত সদস্য। তিনি ইসরায়েল–সম্পর্কিত তাঁর আগের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: