বাইডেন-ট্রাম্পকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান রমনির

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:১৯

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত


ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেনকে রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের জায়গা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মিট রমনি। অবসর নেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিবিসির।

তিনি আবার নির্বাচন করবেন না বলেও জানিয়েছেন কারণ এখন ‘নতুন প্রজন্মের নেতাদের’ সময়।


৭৬ বছর বয়সী রাজনীতিবিদ রমনি মার্কিন রাজনীতিতে ২০ বছর ধরে যুক্ত আছেন। তিনি ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাইডেন এবং ট্রাম্প উভয়েরই সোচ্চার সমালোচক হয়ে উঠেছেন তিনি।

তিনি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তার সিনেটের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন।


আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন জো বাইডেন ও ট্রাম্প। প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় মিট রমনি তাদেরকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন।

বুধবার তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, এখন বয়স হয়েছে। বয়সই তাকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। আরও এক দফা যদি নির্বাচন করে নির্বাচিত হই তাহলে আমার বয়স হবে ৮০’র কোটার মাঝামাঝি। খোলামনে বলছি, এটা হলো নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের সময়। নির্বাচনে লড়াই করবো না বলেই আমি লড়াই থেকে সরে যাবো না।

রিপাবলিকান দলে আরও যুব শ্রেণির মানুষ যুক্ত হোক, তার এমন ইচ্ছার কথাই সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন। বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে রমনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ট্রাম্প যদি সরে দাঁড়ান তাহলে এটা হবে নতুন প্রজন্মের জন্য বড় একটি বিষয়। এখন বাইডেনের বয়স ৮০ বছর। ট্রাম্পের ৭৭। তারাই এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যথাক্রমে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানের ফ্রন্টরানার।

২০১২ সালে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন রমনি। কিন্তু সেসময় তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে হেরে যান। এর ৬ বছর পর তিনি ইউটাহ রাজ্যের দুটি সিনেট আসনের একটিতে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাতে সফল হননি।

২০২০ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসিত করার পর তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। একমাত্র রিপাবলিকান হিসেবে তিনিই দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: