সরকারি চাকরিজীবীদের টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নিউইয়র্ক সিটিতে

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৯:১৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী নিউ ইয়র্ক সিটিতে কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চীনা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন থেকে টিকটক অ্যাপটি মুছে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। ১৬ আগস্ট, বুধবার নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশনা।

সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামসের এক মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি বলেন, ‘শহরের টেকনিক্যাল নেটওয়ার্কের নিরাপত্তার জন্য দিন দিন হুমকি হয়ে উঠছে টিকটক। এ কারণেই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ধনস্থ সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মোবাইল ফোন থেকে টিকটক অ্যাপটি মুছে ফেলার আদেশ দেওয়া হয়। তারপর গ্রীষ্মের শুরুতে এক ডিক্রি জারি করে অঙ্গরাজ্যগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফোন থেকেও অ্যাপটি সরানোর নির্দেশ দেয় হোয়াইট হাউস।

ইতোমধ্যে রাজধানী ওয়াশিংটনসহ অন্তত ২০টি অঙ্গরাজ্যে সেই নির্দেশ কার্যকরও করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের (এফসিসি) সুপারিশেই এই আদেশ দেয় হোয়াই হাউস। এই দুই সংস্থার অভিযোগ— টিকটক তার আমেরিকান ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনে পাচার করছে।

টিকটক অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি কোম্পানিগুলোকে চাপে রাখতে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।

টিকটক অ্যাপটি ব্যবহার করে সংক্ষিপ্ত ভিডিও বানানো এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা শেয়ার করা যায়। ভিডিও কন্টেন্ট মেকিং ও শেয়ারিংয়ের হিসেবে টিকটক বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ। প্রতি মাসে বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ এই অ্যাপটি নিজেদের মোবাইলে ডাউনলোড করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গবেষণা সংস্থা সিমিলার ওয়েবের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ডাউনলোডকৃত অ্যাপগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে টিকটক। বর্তমানে দেশটিতে ১৫ কোটিরও বেশি সংখ্যক মানুষ টিকটক ব্যবহার করেন। এই সংখ্যা দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের কাছাকাছি।


সূত্র : আরটি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: