চীনের সংবেদনশীল প্রযুক্তি খাতে আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করলো যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১০ আগস্ট) এ বিষয়ক নির্বাহী আদেশে সই করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর রয়টার্সের।
গতকাল নিউ মেক্সিকোর এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, অবকাঠামোয় বিশ্বের সেরা হওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। বন্দর, রেলরোড, এয়ারপোর্ট, সড়ক সবকিছু নির্মাণেই এগিয়ে আমরা। কিন্তু সত্যিটা কি জানেন? আমরা বর্তমানে ১৩ নম্বরে রয়েছি। আর, চীন তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে। তুলনামূলক কম মানসম্পন্ন পণ্যের মাধ্যমে কীভাবে তারা প্রভাব বিস্তার করে? সে কারণে সরবরাহে রাশ টানার এ পরিকল্পনা। প্রযুক্তি খাতে চীন নয় বরং মার্কিন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করুন।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে সেমি-কনডাক্টরস, মাইক্রো-ইলেকট্রনিকস ও কোয়ান্টাম ইনফরমেশন টেকনোলজি। তাছাড়া, মার্কিন কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যেন চীনের সামরিক খাতকে শক্তিশালী করতে না পারে, সেটাও লক্ষ্য। নির্বাহী আদেশে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজি ও দক্ষতা নিজ দেশের উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে, এমন খাতগুলোয় বিনিয়োগ বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে চীনের যেসব প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার, মাইক্রোচিপ ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি বানায়, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন তারা। তাতে নতুনভাবে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লড়াইয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মূলত প্রযুক্তি খাতে একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও নেদারল্যান্ডসের। কিন্তু চীন নিজস্ব পদ্ধতিতে নির্মাণ করছে সেগুলোর বিকল্প। সেসব সস্তা পণ্য চাহিদা মেটালেও বাজার নষ্ট করছে বলে অনেকের অভিমত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: