তাইওয়ানের জন্য নতুন ৩৪৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২৮ জুলাই, শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাইজ।
এই সহায়তার আওতায় কোন ধরনের অস্ত্র ও সরঞ্জাম দেওয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউজ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, তাইওয়ানে সরবরাহের মধ্যে বহনযোগ্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ছোট অস্ত্র গোলাবারুদ এবং পুনরুদ্ধার সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করা এবং নতুন কারণ তৈরি করা বন্ধ করা, যা তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
ওয়াশিংটন তার 'এক চীন' নীতির অধীনে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন না করলেও দ্বীপটির প্রতিরক্ষার বিষয়টিকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাইওয়ানের জন্য বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ২০২৬ সালের মধ্যে ৬৬টি এফ১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য ৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিও রয়েছে।
তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা জানিয়ে বেইজিং বলেছে, তারা প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে পুনরায় একত্রিত করবে।
এই মাসের শুরুর দিকে চীন এই বছর দ্বিতীয়বারের মতো তাইওয়ানের চারপাশে বড় সামরিক মহড়া চালিয়েছে। দেশটি তাইওয়ানের উপকূলরেখার কাছাকাছি কয়েক ডজন যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান পাঠিয়েছে।
তাইওয়ানের মাত্র ১৩টি কূটনৈতিক মিত্র রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে নিয়মিত যুদ্ধবিমান ও নৌ জাহাজ অনুপ্রবেশসহ দ্বীপের প্রতি বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আক্রমনাত্মক অবস্থানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।
সূত্র: আল জাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: