ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে রাশিয়া যে পরিমাণ ভূমি দখল করেছিল তার অর্ধেক বা ৫০ শতাংশই আবার পুনরুদ্ধার করেছে দেশটি। বাকিটা পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা অত্যন্ত কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি। স্থানীয় সময় ২৩ জুলাই, রোববার সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যেসব ভূখণ্ড দখল করেছিল রাশিয়া, তার প্রায় ৫০ শতাংশ এরই মধ্যে পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘এখনও তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে পাল্টা আক্রমণের প্রাথমিক সময় চলছে। এটি খুবই কঠিন। আগামী সপ্তাহ বা আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত ফয়সালা হবে না। আমি মনে করি, আমরা এখনও আগামী কয়েক মাসের দিকে তাকিয়ে আছি।’
এদিকে, গ্রীষ্মকালীন পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর ইউক্রেন শিগগিরই মস্কোর সামরিক বাহিনীকে কিয়েভের ভূখণ্ড থেকে হটিয়ে দিতে পারে - এমন আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। কারণ কিয়েভের সৈন্যরা দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে রুশ সৈন্যদের সাথে লড়াইয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
গত মাসের শেষ দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রগতি প্রত্যাশার তুলনায় ধীর হচ্ছে। তবে ত্বরান্বিত করার জন্য কিয়েভের ওপর কোনো চাপ নেই।
সিএনএনকে দেয়া এ বিশেষ সাক্ষাৎকারে ব্লিঙ্কেন চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারেও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, চীনের সাথে যোগাযোগের লাইন শক্তি করার চেষ্টা চলছে। বৈশ্বিক দুই পরাশক্তির মাঝে সংঘর্ষ এড়াতে এ প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘আমরা সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনার জন্য, সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করার জন্য এবং আমরা যে প্রতিযোগিতায় আছি তা যেন দ্বন্দ্বে রূপ না নেয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি।’
সূত্র : সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: