পাকিস্তানে নির্বাচিত যেকোনো সরকারের সঙ্গেই কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’কে নিয়ে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) যে ‘ভুলতথ্য’ প্রচার করা হচ্ছে তাকে রাবিশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হিউস্টনে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক বিষয়ক এক কনফারেন্সে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট এলিজাবেথ হোর্স্ট।
তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের নীতি, আইনের শাসনকে সমর্থন করে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। খবর অনলাইন জিও নিউজের।
এতে বলা হয়, পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ শেষের পথে। এরপরই আগামী মাসে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে। তারপর নির্বাচন হবে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে তা পুনর্ব্যক্ত করেন এলিজাবেথ হোর্স্ট। তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী বা দলের প্রতি আমাদের কোনো অবস্থান নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাকিস্তান ব্যুরোর অন্যতম প্রধান এলিজাবেথ হোর্স্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবাধে মত প্রকাশ ও আইনের শাসন সমর্থন করে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সময়ে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি তিনি যখন নিজের ক্ষমতা হারানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে, বিশেষত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’কে দায়ী করেন, তখন তা আরও খারাপ হয়ে যায়।
ইমরান খানের অভিযোগ সম্পর্কে এলিজাবেথ হোর্স্ট বলেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু সম্পর্কে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি মিথ্যা।
তিনি উল্লেখ করেন, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অসংখ্যবার পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া হয়েছে।
তবে এখনো ইমরান খান তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) কমর জাভেদ বাজওয়া ও অন্যদের নাম উল্লেখ করেন। মাঝে মাঝেই তিনি এর পাশাপাশি ডোনাল্ড লু’র নামও তোলেন।
কিন্তু এলিজাবেথ হোর্স্ট বলেন, তার দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে, পাকিস্তানের সঙ্গে মূল্যবান অংশীদারিত্বে কোনো প্রপাগান্ডা, ভুল তথ্য, বিকৃত তথ্যকে প্রশ্রয় দেয় না। তিনি আরও বলেন, গত ৭৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ফলপ্রসূ।
সূত্র : জিও নিউজ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: