ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার অন্যতম কারণ ছিল ন্যাটো ইস্যু। তবে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ্যে জানিয়ে আসছে ইউক্রেন। মূলত নিজেদের সুরক্ষায় পশ্চিমাদের এই সামরিক জোটে যোগ দিতে মরিয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে ও পুতিন এক সময় মনে করবেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া রাশিয়ার স্বার্থের পরিপন্থি। বাইডেন বলেন, তবে যুদ্ধকালীন অবস্থায় কোনো দেশই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে না। কারণ এতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র-নর্ডিক নেতাদের শীর্ষ বৈঠকের পরে হেলসিঙ্কিতে ফিনিশ প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসটোর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন বাইডেন।
এদিকে প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডের পথ ধরে এবার সুইডেনও যোগ দিতে চলেছে ন্যাটোতে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুইডেনের ব্যাপারে তার দেশের আপত্তি তুলে নেওয়ার পর এই সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার পথ খুলে গেলো সুইডেনের জন্য।
ফিনল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে এই পশ্চিমা জোটে যোগ দেয় গত এপ্রিলে, তাদের নিয়ে ন্যাটো জোটের সদস্য দেশের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১।
নরডিক অঞ্চলের এই দুটি দেশ বহু দশক ধরে তাদের সামরিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিল। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করলো, তারপর এই দুটি দেশ তাদের অবস্থান বদলায়। ইউক্রেন যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় মহাদেশে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ বলে মনে করা হয়।
সূত্র : সিএনবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: