যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন চীনের কর্মকর্তাদের সাথে গত কয়েক দিনে ১০ ঘন্টার বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে জানান। ‘আরও নিশ্চিত অবস্থান’ নিয়ে দুই বিশ্বশক্তির মধ্যে সুসম্পর্ক নিয়ে তিনি চীন ত্যাগ করেন। ৯ জুলাই, রবিবার বেজিং-এর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ইয়েলেন বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নানা বিষয়ে উল্লেখযোগ্য মতপার্থক্য রয়েছে।"
"অন্যায্য অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ" এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসার বিরুদ্ধে চীন থেকে চলা কূট কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন জ্যানেট ইয়েলেন।
তবে, এরই সাথে ইয়েলেন যোগ করেন যে, তিনি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন "বিশ্বাস করেন যে, আমাদের দুই দেশের বিকাশের জন্য এই বিশ্ব যথেষ্ঠ বড়।" যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের দুই সর্ববৃহৎ অর্থনীতি।
জাতীয় নিরাপত্তাগত সমস্যা ও বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির ব্যাপারে শীর্ষ কর্মকর্তারা গত কয়েক সপ্তাহে সাক্ষাৎ করেছেন। স্বাভাবিক যোগসূত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতেই এই সাক্ষাৎ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত মাসে বেজিং গিয়েছিলেন। বাইডেনের প্রেসিডেন্সির সময় এটাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনও শীর্ষ কূটনীতিকের সফর। জলবায়ুগত দূত জন কেরি এই মাসের শেষের দিকে সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এক সিনিয়র ট্রেজারি কর্মকর্তা বলেন, ইয়েলেনের এই সফরের ফলে নির্দিষ্ট কোনও নীতি উঠে আসেনি কিন্তু ‘পুনরায় যোগাযোগস্থাপন’ ও সম্পর্ক নির্মাণের নিরিখে এটা ‘ভীষণই সফল’।
এই সফরে ইয়েলেন চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফেং-এর সাথে শনিবার পাঁচ ঘন্টা ধরে বৈঠক করেন। রাজস্ব দফতর এই বৈঠককে "আন্তরিক, গঠনমূলক ও সার্বিক" বলে অভিহিত করেছে। এদিকে, চীনের সরকারি গণমাধ্যমে একে ‘গভীর, আন্তরিক ও বাস্তবোচিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
সূত্র : ভয়েজ অব আমেরিকা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: