ছবি : সংগৃহীত
ভয়াবহ তুষারঝড় ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের ১ হাজার ৬০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিলম্বিত হয়েছে আরো ৭ হাজার ৪০০টিরও বেশি ফ্লাইট। এ পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরগুলোয় চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্য বলছে, ঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউইয়র্ক এলাকার জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিউইয়র্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর। এছাড়া বোস্টন, শিকাগো ও কানাডার টরন্টোর বিমান চলাচলেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা। পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিউইয়র্ক ও দক্ষিণ কানেকটিকাটে সর্বোচ্চ ৯ ইঞ্চি (২৩ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তুষারপাত সবচেয়ে তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঝড়ের কারণে একাধিক বড় এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে চালকদের জন্য বিপজ্জনক সড়ক পরিস্থিতির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি সরঞ্জাম বহন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল। নিউ জার্সি ও কানেকটিকাটের গভর্নররাও একই ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
শুক্রবার যেসব কর্মজীবী গাড়ি চালিয়ে অফিসে গিয়েছেন, তাদের দ্রুত রওনা হওয়ার বা গণপরিবহন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস।
শহরজুড়ে তুষার পরিষ্কারের জন্য স্নো-প্লাউ মোতায়েন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাস্তায় তুষারপাত দুই ইঞ্চিতে পৌঁছালেই পরিষ্কার কাজ শুরু হবে। এটি চলতি মৌসুমে নিউইয়র্ক সিটির দ্বিতীয় বড় তুষারপাত।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর শহরজুড়ে কয়েক ইঞ্চি বরফে ঢেকে গিয়েছিল। শীতকালীন এ ঝড়ের কারণে আগামী দিনগুলোতেও বিমান চলাচল ও সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: