এনভিডিয়া এইচ২০০ চিপ চীনে পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছেন ট্রাম্প

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৫২

ছবি : গ্রাফিক্স ছবি : গ্রাফিক্স

গত সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া চীনে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ রপ্তানি করতে পারবে।

এমন সময়ে এই ঘোষণাটি এলো যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। দুই দেশই এআই প্রযুক্তিতে আধিপত্য বিস্তারে প্রতিযোগিতা করছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ এনভিডিয়ার উন্নত চিপ রপ্তানি নীতিতে বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্বে জো বাইডেন প্রশাসন কঠোরভাবে সীমিত করেছিল। কারণ, বাইডেন প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তা এবং চীনের সামরিক ব্যবহারের সম্ভাবনার কারণে চিপ রপ্তানির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল।

কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে গুরুতর ভুল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা মনে করেন, এই পদক্ষেপ চীনের সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।

ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, তিনি শি জিনপিংকে জানিয়েছেন যে, এনভিডিয়াকে তাদের এইচ২০০ চিপ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে এটি ‘শক্তিশালী জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখার শর্তে’ হবে। এছাড়া তিনি উল্লেখ করেছেন, চীনে বিক্রিত চিপ থেকে ২৫% অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া হবে, তবে এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেননি।

ট্রাম্প তার পূর্বসূরির নীতি সমালোচনা করে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে কম ক্ষমতাসম্পন্ন চিপ তৈরি করতে বাধ্য করেছিল, যা উদ্ভাবনকে ধীর করে দিয়েছে এবং কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এনভিডিয়ার মুখপাত্র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের চিপ শিল্পকে উচ্চ বেতনের চাকরি ও প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নিয়ে যাবে। ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, সবচেয়ে আধুনিক ব্ল্যাকওয়েল ও রুবিন চিপ এই চুক্তির আওতায় পড়বে না এবং শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের জন্য থাকবে।

এইচ২০০ চিপ বর্তমানে এনভিডিয়ার সর্বাধুনিক চিপের তুলনায় প্রায় ১৮ মাস পিছিয়ে আছে। এই চিপগুলো মূলত জিপিইউ হিসেবে ব্যবহার হয়, যা এআই মডেল প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ট্রাম্প বলেছেন, একই নীতি এএমডি, ইন্টেল ও অন্যান্য বড় কোম্পানির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং হোয়াইট হাউসে বাইডেন প্রশাসনের এই নীতি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়েছিলেন।

কিন্তু ডেমোক্র্যাট নেতারা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখেছেন। ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেছেন, এটি চীনের সামরিক শক্তি দ্রুত বাড়াবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত নেতৃত্বকে দুর্বল করবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: