স্বীকারোক্তি দিলো জাতিসংঘ এবং ইইউ

তারমুসায়া গ্রামে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ তাণ্ডব

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ জুন ২০২৩ ০৯:২৬

এক শহীদ ফিলিস্তিনির মরদেহ : সংগৃহীত ছবি এক শহীদ ফিলিস্তিনির মরদেহ : সংগৃহীত ছবি


ফিলিস্তিনে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি সেভেন কোহান বুর্গদুরাফ স্বীকার করেছেন, ২০০৫ সাল থেকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ- নজিরবিহীন ভাবে বেড়েছে।

তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরের ‘তারমুসায়া’ গ্রামে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের তান্ডবকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন। এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভল্কার তুর্ক বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং সহিংসতার কারণে অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যা-নির্যাতন নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর তীব্রতা আগের চেয়ে বেড়েছে। চলতি ২০২৩ সালের শুরু থেকে যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে হত্যা-নির্যাতনের মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে কট্টর বর্ণবাদী ও উগ্রপন্থীদের নিয়ে সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সব ধরণের অপরাধের মাত্রা বেড়ে গেছে।শিশুদেরকেও রেহাই দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৭ শিশু শহীদ হয়েছে। এদের মধ্যে দুই বছরের শিশু রয়েছে।

দখলদার ইসরাইলের অপরাধের তালিকায় নতুনকরে যুক্ত হয়েছে ‘তারমুসায়া তা-ব। কয়েক দিন আগে এই গ্রামে হানা দেয় একদল উগ্র ইহুদি। গণহত্যার পরিকল্পনা নিয়ে সেখানে যায় তারা। এরপর গোটা গ্রামে তান্ডব চালায়। ৪০টি বাড়ি, ৬০টি গাড়ি এবং বিশাল আয়তনের কৃষি ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি সেভেন কোহান বুর্গদুরাফ পশ্চিম তীরের তারমুসায়া গ্রামে চালানো তা-বের সমালোচনা করে অবৈধ উপশহর নির্মাণ বন্ধের আহ্বান জানালেও বাস্তবতা হচ্ছে খালি বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাবশালী হওয়ার পরও ইসরাইলকে থামাতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে ইসরাইলের অপরাধ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

ফিলিস্তিনি ভূখন্ড দখল করে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পাশ্চাত্যের মূল ভূমিকা কারো অজানা নয়। এ কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধির এ ধরণের বক্তব্য-বিবৃতিকে গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার মতোই মনে হয়। এরপরও এ ধরণের বক্তব্য-বিবৃতির একটা ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে আর তাহলো বাস্তব পরিস্থিতি আড়ালের প্রক্রিয়াটি কিছুটা হলেও বাধাগ্রস্ত হয়।

 

সূত্র : ইরনা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: