এবছরে একাধিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা ইরানের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৩৫

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

চলতি ইরানি বছরের শেষ নাগাদ বেশ কয়েকটি উপগ্রহ এবং মহাকাশ উৎক্ষেপণ যান উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইরান। পাশাপাশি দেড় হাজার কেজি ওজনের একটি জৈবিক ক্যাপসুল তৈরির পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে দেশটি, যা একজন মানুষকে মহাকাশে বহন করতে সক্ষম।

ইরানের মহাকাশ সংস্থার প্রধান এবং উপ-আইসিটি মন্ত্রী হাসান সালারিয়ে জানিয়েছেন, দেশটি পারস্য ক্যালেন্ডার ১৪০৪ (২০২৫-২০২৬) সালে সিরিজ আকারে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে। এসব উপগ্রহের মধ্যে রয়েছে সিমোর্গ এবং অপ্টিমাইজড সিমোর্গ ও জোলজানা। এছাড়া কায়েম ১০০ উৎক্ষেপণ যান উৎক্ষেপণ করা হবে।

তিনি জানান, জাফর এবং পায়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণে ১৪০৩ সালকে নির্ধারণ করা হলেও উৎক্ষেপণ বিলম্বিত হয় এবং এখন ১৪০৪ সালের জন্য তা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।সালারিহ আরও জানিয়েছেন যে, "শহীদ সোলাইমানি স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন" এর পরীক্ষামূলক এবং কার্যকরী লঞ্চ ১৪০৪ এবং ১৪০৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। এছাড়া, "নাহিদ-২" স্যাটেলাইটও ১৪০৪ সালে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক লঞ্চ ভেহিকেল ব্যবহার করে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ইরান বর্তমানে দুটি মহাকাশ ক্যাপসুল তৈরি করছে—একটি ৫০০ কেজি এবং একটি ১,৫০০ কেজি ওয়েটের ক্যাপসুল, যা মানব মহাকাশযাত্রার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে। এছাড়া, ইরান একটি ১ টন স্যাটেলাইট গবেষণা কেন্দ্রও নির্মাণ করছে, যার ৬০% অবকাঠামো ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।

মহাকাশ অবকাঠামো সম্পর্কিত একটি বড় প্রকল্প, চাহবাহার স্পেস বেস, ১৪০৫ সালের মধ্যে প্রথম ধাপের কাজ সম্পন্ন হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ইরান তাদের মহাকাশ প্রযুক্তি ও গবেষণায় একটি বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে এবং বিশ্বের মহাকাশ শক্তির সাথে প্রতিযোগিতায় নাম লিখানোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: