কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আরব লিগের উদ্যোগে এই বৈঠকের আয়োজন করে প্রতিবেশী দেশ জর্ডান। এতে অংশ নেয় জর্ডান, সৌদি আরব, ইরাক, লেবানন, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বৈঠকে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে আরব লিগের দেশগুলো। বন্দরনগরী আকাবায় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছে তারা। যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, সিরিয়ার নতুন সরকারকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে এবং সব ‘রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির’ প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।
যৌথ ঘোষণায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, নাগরিকরা যেন জাতিগত, গোষ্ঠীগত ও ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার না হন। একইসঙ্গে দামেস্কে সব নাগরিকের জন্য ন্যায্যতা ও সমতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায় আরব লীগ।
যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২২৫৪ রেজুলেশনের মূলনীতি অনুযায়ী জাতিসংঘ ও আরব লিগের সমর্থন নিয়ে সিরিয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া উচিত। সিরিয়া সংকট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে ঘোষিত পথনকশার ভিত্তিতে ২০১৫ সালে এই রেজুলেশন গৃহীত হয়েছিল।
বৈঠকের ফাঁকেই জাতিসংঘের সিরিয়া-বিষয়ক বিশেষ দূত গেইর পিডারসন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক প্রধান কাজা কালাসের সঙ্গে আলাপ করেন আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আলোচনা হয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গেও। ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তুরস্ক সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: