সৌদি আরবের শ্রম আইনে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন শ্রম আইনে সুবিধা বেড়েছে শ্রমিকদের।
সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নতুন আইনানুসারে কর্মস্থলে আগের চেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন কর্মীরা। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এ আইন কার্যকর করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে দেশটিতে একটি রাষ্ট্রীয় ডিক্রি জারি করা হয়েছে। সংশোধিত শ্রম আইনে কিছু অনুচ্ছেদে পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে দুটি অনুচ্ছেদ যুক্ত এবং সাতটি অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আগের শ্রম আইন অনুসারে মাতৃত্বকালীন ছুটি ছিল ১০ সপ্তাহ বা আড়াই মাস। নতুন আইনে তা বাড়িয়ে ১২ সপ্তাহ বা তিন মাস করা হয়েছে। এছাড়া ভাইবোনের মৃত্যুতে অংশ নিতেও ছুটি বাড়ানো হয়েছে। আইনানুসারে এখন তিন দিনের ছুটি মিলবে। এছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশনারি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ মাস বা ১৬০ দিন।
সংশোধিত আইনানুসারে কর্মীরা ওভারটাইমে আর্থিক বিষয় ছাড়াও ছুটির দাবি করতে পারবেন। চাকরি ছাড়ার জন্য এখন থেকে এক মাস আগে কর্মস্থলে অবহিত করতে হবে, যা আগে দুই মাস আগে জানাতে হতো। এ কর্মীরা এখন আবাসন ও যাতায়াত খরচ পাবেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি কর্মীদের জন্যও আইন সংশোধন করা হয়েছে। নিয়োগদাতা কিংবা প্রতিষ্ঠানকে বিদেশি কর্মীদের বিশেষ চুক্তি অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করতে হবে। বর্তমান আইনে অবশ্য এ বিষয়ে সময় নির্ধারণ করা হয়নি। তবে কাজের অনুমোদনপত্রের মেয়াদের ভিত্তিতে এটি ঠিক করা হবে।
এদিকে সৌদি আরবের শূরা কাউন্সিলে ১৯ নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দেশটির এমন পদক্ষেপকে সৌদির আইনি কাঠামোয় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের আরও এক ধাপ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে তাদের চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে শূরা কাউন্সিলের ১৫০ আসনের মধ্যে ২০ শতাংশ নারীদের জন্য বরাদ্দ রাখার বিধান করা হয়। এরই অংশ হিসেবে এই নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শূরা কাউন্সিলের স্পিকার শেখ ড. আব্দুল্লাহ আল শেখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: