চলতি বছর হজের খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। ১৪৪৫ হিজরির ৯ জিলহজ (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৫ জুন) আরাফাহ প্রাঙ্গণে সমবেত হাজিদের উদ্দেশে মসজিদে নুমাইরা থেকে খুতবা দেবেন তিনি।
গত ২৭ মে এক বিবৃতিতে সৌদির রাজকীয় অনুমোদনের পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের ধর্মবিষয়ক পরিচালনা পর্ষদ।
পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আর আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের একটি আবশ্যকীয় বিধান।
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজিরা এখানে অবস্থান করেন এবং জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে পড়েন। এ সময় মসজিদে নামিরা থেকে দিকনির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ খুতবা দেওয়া হয়। সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে এই খুতবার বাণী পৌঁছে দিতে ২০টি ভাষায় সরাসরি এর অনুবাদ সম্প্রচার করা হয়।
শায়খ মাহের ১৯৬৯ সালের ৭ নভেম্বর মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। মদিনার টিচার্স কলেজে গণিতের শিক্ষক হিসেবে পড়াশোনা শেষ করে মক্কায় কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৪ সালে মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকাহ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০১২ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন।
শায়খ মাহির উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান।
১৪২৬-২৭ হিজরিতে শায়খ মাহির দুই বছর পবিত্র মসজিদে নববীতে তারাবির নামাজে ইমামতি করেন। ২০০৮ সালে তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামে শায়খ আস-সুদাইসির সঙ্গে তারাবি ও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ান। ওই বছর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান।
সূত্র : সৌদি গেজেট
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: