দুবাইয়ের পর সৌদি আরবে বন্যা, মদিনায় ভারী বর্ষণ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ মে ২০২৪ ০৬:৪৭

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলে বন্যা এবং ভারী বৃষ্টি আঘাত হেনেছে। উপসাগরীয় দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষের দ্বারা জারি করা ভ্রমণ সতর্কতার কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ এবং স্কুলগুলোতে ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে সৌদি আরবের আবহাওয়া বিভাগ সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটিওরোলজি (এনসিএম) আল-মদিনা, আল- উলা অঞ্চলের জন্য একটি রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল। এতে এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল।

স্কাই নিউজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ২৯ এপ্রিল, সোমবার আল-উলা এবং আল-মদিনা শহরে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। আল-মদিনা শহরে মসজিদে নববীর অবস্থান। এটি ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থান। এই মসজিদের কাছে প্রবল বৃষ্টি হতে দেখা গেছে।

এর আগে সৌদি আরবের দক্ষিণ-পূর্বের প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। এর কয়েকদিন পর সৌদি আরবে ভারী বর্ষণ ও বন্যা দেখা দিয়েছে। বছরে এই সময়ে আরব দেশগুলোতে এ ধরনের আকস্মিক বন্যাকে একটি বিরল ঘটনা বলা যেতে পারে। মূলত এই ঘটনাগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে আংশিকভাবে দায়ী করা হচ্ছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে, সৌদি আরবে প্রবল বৃষ্টির ফলে উপকূলীয় বন্যার সৃষ্টি হয়। সে সময় বন্যার কারণে জেদ্দাতে ২ জন নিহত হয়। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বার বার বন্যার কবলে পড়ছে জেদ্দা।

উপসাগরীয় দেশগুলোর বেশিরভাগ শহর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল। কারণ ২০ শতকের নগর পরিকল্পনাবিদরা আরব উপদ্বীপের মত শুষ্ক ভূখণ্ডে জলবায়ুর এ ধরনের নাটকীয় পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেননি।

এদিকে সৌদি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে। দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং উপত্যকা ও জলপথ এড়াতে অনুরোধ করেছে। এই অঞ্চলগুলোতে প্রবেশ না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গাড়ির চালকদের গ্রামীণ রাস্তায় বিশেষভাবে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছে।


সূত্র: দ্য নিউ আরব



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: